বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।
উপ-উপাচার্য বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগটি প্রতিষ্ঠার দশ বছর পার করলো। দেশে আদর্শ সাংবাদিক তৈরিতে ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা প্রচার ও প্রসারে এই বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সাংবাদিকতা বিষয়ক সেমিনার, খাওয়া-দাওয়া, কেক কাটাসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শেষে এক বিশাল আনন্দ র্যালির আয়োজন করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। আনন্দ মিছিল শেষে বিভাগে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সেমিনার কক্ষে ‘গণমাধ্যমে জনস্বার্থ: কালের পরিক্রমা’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়। সঞ্চালনা করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।
প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগটি খোলা হয়েছে মাত্র ৯ বছর আগে। আজ বিভাগটি প্রতিষ্ঠার ১০ম বছরে পদার্পণ করলো। একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বিভাগ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশে মেধাবী সাংবাদিক তৈরিতে এই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
সভায় দৈনিক জাগরণ পত্রিকার সম্পাদক আবেদ খান এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শামসুল মজিদ হারুনকে বিভাগের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংস্কৃতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি, সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এসময় তার হাতে আজীবন সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিভাগের সভাপতি শেখ আদনান ফাহাদ।
আবেদ খান বলেন, সাংবাদিকরা নতুন কিছু সৃষ্টি করার সক্ষমতা রাখে। সংবাদ হলো একটি পচনশীল পণ্য। পচনশীল পণ্যকে নিয়ে যারা কাজ করে এবং তার সাথে যদি যুক্ত হয় প্রতিযোগিতা, তাহলে ভালো-মন্দ দুই ধারার সৃষ্টি হয়। সাংবাদিকদের অবশ্যই সততার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও প্রেরণ করতে হবে। আশা করি নতুন প্রজন্ম সেই দিকটি অবশ্যই অনুসরণ করবে।
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালমা আহমেদ, উজ্জ্বল কুমার মন্ডল, সুমাইয়া শিফাত, নিশাত পারভেজ, প্রভাষক শিবলী নোমান, সালমা সাবিহা, শবনম ফেরদৌসী, নওশীন জাহানসহ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply