পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘন কুয়াকাশায় সকাল থেকেই ঢাকা পড়ছে গ্রামীণ জনপদ। দক্ষিণের হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় কলাপাড়ায় সর্বনিম্ন ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস।
কনকনে ঠান্ডা বাতাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। তবে একটু উষ্ণতার জন্য অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালিয়েছেন। বেড়েছে গরম কাপড়ের কদর। তবে হতদরিদ্র এসব মানুষের পাশে এখনও দাঁড়ায়নি বিত্তবানরা। এদিকে, হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মস্তফা মিয়া বলেন, জেলের কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। তাও বয়সের ভারে মাসের মধ্যে পনের দিন কাজ করতে পারি না। এত শীত আর সহ্য হয় না। জনপ্রতিনিধিদের কাছে কম্বল চাইছিলাম। এখনও কেউই দেয়নি। মহিপুরের চা দোকানী মনির মিয়া বলেন, এ বছর একটু শীত বেশি মনে হচ্ছে। টাকার অভাবে গরম কাপড় কিনতে পারিনি। সরকার আমাদের গরিবদের জন্য চাদরের ব্যবস্থা করলে শীত কিছুটা নিবারন করতে পারতাম।
কুয়াকাটা পৌর শহরের ভ্যানচালক আবুল মিয়া বলেন, শীত আর শীত। এত শীতে ভ্যান চালানো কষ্টকর। তারপরও পেটের টানে ভ্যান চালাতে হচ্ছে। কিন্তু দুই তিনদিন পর্যন্ত রাস্তায় তেমন একটা যাত্রী নাই।
কুয়াকাটা সৈকতের চা দোকানী হাবিব মিয়া বলেন, তীব্র শীতে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তাই বেচাকেনা কম।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, আরও দু-একদিন তীব্র শীত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাও কিছুটা বাড়তে পারে।
Leave a Reply