কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৫ম ধাপে ইউপি নির্বাচনের পর একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪০ জনের মত লোক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে ৭ রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। ৭ জানুয়ারি বিকালে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামে বিজয়ী ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া ও পরাজিত প্রার্থী ইসলাম উদ্দিনের সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ গিয়ে ৭ রাউন্ড গুলি ছূঁড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। সান্দিকোনা ও গন্ডা ইউনিয়নের আহতরা হলেন, আব্দুস সাত্তার সাধার, রুবিনা সাধার, সাত্তার মিয়া সাধার, হৃদয় সাধার, সান্দিকোনা ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন চেংজানা, সুফিয়া আক্তার ট্রিপা, তারামিয়া চেংজানা, নবাব আলী চেংজানা, মতিউর রহমান চেংজানা, সোহাগ রানা চেংজানা, জামিল চেংজানা, আব্দুল হক চেংজানা, হারুন মিয়া চেংজানা, জাহাঙ্গীর চেংজানা, তোফায়েল চেংজানা, সুহেল চেংজানা, সিদ্দিক চেংজানা, রুহুল আমিন চেংজানা।
এছাড়া রুকন দূর্গাপুর, রানী বেগম টেংগুরী, মোজাহিদ মাসকা। কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের বিজয়ী মেম্বার জুয়েল মিয়া ও পরাজিত সাবেক মেম্বার ইসলাম উদ্দিনের সমর্থকদের মাঝে শুক্রবার বিকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত আছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা গন্ডা ইউনিয়নের সাধার গ্রামে ২ মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গালীব জানান, সাধার গ্রামের আহতদের মধ্যে আরিফ, কাইয়ুম ও শাহীন মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বাকিরা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এস/জ
Leave a Reply