মেহেদী হাসান আকন্দ: সরকারি শিশু পরিবার নেত্রকোণায় অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ও পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চার সুসমন্বয় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) তাহমিনা আক্তার। বৃহস্পতিবার নেত্রকোণার সরকারি শিশু পরিবারের আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ও পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তাহমিনা আক্তার বলেন, কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা পূর্ণতা পায় না। এর সঙ্গে প্রয়োজন খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চার সুসমন্বয় ঘটানো। পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার এসব উপাদানের সমন্বয় ঘটেছে দেশের অন্যতম নন্দিত মডেল নেত্রকোণা সরকারি শিশু পরিবার। উপ—তত্ত্বাবধায়ক তারেক হোসেনের নেতৃত্বে নেত্রকোণা সরকারি শিশু পরিবার সারাদেশে ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবারের মধ্যে সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বৃহস্পতিবার নেত্রকোণার সরকারি শিশু পরিবারের আয়োজনে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ—পরিচালক মো: আলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ের পরিচালক (উপ—সচিব) তাহমিনা আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ—পরিচালক মোহাম্মদ আলী হায়দার ভুঁইয়া, জেলা সমাজ সেবা সহকারী পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম খাসনবীশ, সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন, সু—নাগরিক হতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। খেলাধুলা সমাজের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখে। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন, সরকারি শিশু পরিবার (বালক) নেত্রকোণার উপ—তত্ত্বধায়ক তারেক হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং মেধাভিত্তিক সাবেক ৬জন নিবাসীর হাতে প্রত্যেককে ১৫ হাজার করে টাকার চেক তুলে দেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে নেত্রকোণা জেলায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় দরিদ্র এতিম শিশুদের লালন পালনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান নেত্রকোণা সরকারি শিশু পরিবার। দেশব্যাপী সরকারিভাবে পরিচালিত ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবারের মধ্যে এটি একটি সেরা মডেল প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৩ সালে জেলা শহরের নিজামপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০১ সালে ৫মে সরকারি শিশু পরিবারে রুপান্তরিত হয়ে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ী এলাকায় স্থাপিত হয়। ৩একর জায়গায় মনোরম পরিবেশের এই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১০০জন এতিম শিশু লালিত পালিত হচ্ছে।
Leave a Reply