বিশেষ প্রতিনিধিঃ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী বাঙালি জাতির জন্য অতি আরাধ্য এক সময়। এই ক্ষণে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন জাতির পিতার ম্যুরালসহ চেতনার বাতিঘর কমপ্লেক্স ¯’াপন করেছে। নেত্রকোণা জেলার ধন্য হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদস্পর্শে। জাতির পিতা তার জীবদ্দশায় ছয় বার এই জেলায় আগমন করেছেন।
জাতির পিতার প্রতি হাজারো জনতার শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেত্রকোণা জেলায় বঙ্গবন্ধুর কোন দৃষ্টিনন্দন ¯’ায়ী ম্যুরাল নেই। নেত্রকোণার মুক্তিযুদ্ধ ও শিল্প সাহিত্যে রণভূমি হওয়া সত্বেও নেত্রকোণা জেলায় এই শূন্যতা বিরাজমান ছিল। এরই প্রেক্ষিতে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন কর্তৃক নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে “চেতনার বাতিঘর” জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল পনও সৌন্দর্য বর্ধনে সুদৃশ্য গেট নির্মাণ, জাতির পিতার দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল ¯’াপন, ফলক এর মাধ্যমে জাতির পিতার জীবনের গুরত্বপূর্ণ ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা, ল্যান্ডস্ক্যাপিং, বর্তমানে প্রকল্প এলাকাটি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রাণ কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিপ্রায়ে চেতনার বাতি ঘর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
২৬ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে চেতনার বাতিঘর নিয়ে সাংবাদিক বৃন্দের সাথে মতবিনময় করে জেলা প্রশাসন। এসময় উপ¯ি’ত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, নেত্রকোণা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা মুক্তিযুদ্ধা সাবেক কমান্ডার নূরুল আমিন, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও জেলা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক সাংবাদিক বৃন্দ। জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান জানান, চেতনার বাতিঘর উদ্যোগটির মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো জাতির পিতার চিন্তা চেতনা ও জীবনাদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত করা বিভিন্ন জাতীয় দিবসে নেত্রকোণা জেলার আপামর জনগণ দৃষ্টিনন্দন ল্যান্ডস্কেপিংযুক্ত এলাকায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে। ০৭ টি প্যাক এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জীবন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। শিশুতোষ বঙ্গবন্ধু কর্ণারের মাধ্যমে জাতির পিতার জীবনাদর্শন,সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সচিত্র পরিদর্শন করা হবে। এর ফলে শিশুরা জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ চর্চায় অনুপ্রাণিত হবে। চেতনার বাতিঘর নির্মাণের মাধ্যমে সকল শ্রেণি পেশা মানুষের মাধ্যমে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন দর্শন ও জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
Leave a Reply