মোহনগঞ্জ সংবাদদাতাঃ নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ৩নং তেতুলিয়া ইউনিয়নে ৯ই (রোজ শনিবার) এপ্রিল ২০২২ইং প্রধান শিক্ষক সহ কোন শিক্ষক স্কুলে যাননি। স্কুলটি তালা ঝুলানো দেখে বিষয়টি সাংবাদিককে অবিহিত করে এলাকাবাসী। সাংবাদিক বিষয়টি জেলা ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে অবিহিত করা হলে তারা বলেন, অবশ্যই লিখিত ভাবে কারণ দশানোর নোটিশ প্রদান করা হবে। গতকাল ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্দ থাকায় উক্ত সংবাদ শুনে সহকারী শিক্ষক জহিরুলকে মোবাইল করা হলে তিনি বলেন আমি ছুটিতে আছি।
তিনি আরও বলেন, আমার মোবাইল কেহ রিসিভ করছেন না। তবে শিক্ষক/শিক্ষিকারা ছাত্র/ছাত্রীদেরকে কোনো নোটিশ না দিয়ে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। জহিরুল আরও জানায়, আপনার অভিযোগটি সত্য। এ বিষয়ে সহকারী উপজেলার শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার দ্বিপালী ম্যাডাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওবায়দুল্লাহ শাহীনকে অবিহিত করা হলে, তারা বলেন বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে তলিয়ে দেখা হবে।
দুপুর ১২ টা থেকে ধুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্বে) বনানী সরকারকে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। দুপুর ২টার পর প্রধান শিক্ষক রিসিভ করে বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য মোহনগঞ্জে চলে আসি। ওই সময়ে সহকারী শিক্ষক হৃদয় কৃষ্ণ সরকার স্কুলে ছিলেন। আমি যতটুকু জেনেছি। আমি আসার পর পর হৃদয় কৃষ্ণ সরকার স্কুলের জাতীয় পতাকা নামিয়ে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে চলে যান। যাহা সম্পূর্ণ বেআইনি। বনানী সরকার মোহনগঞ্জ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ক্রমিক নং- ৮২৯০/৬৪ মুলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন অনুমান ২ ঘটিকার সময়। মূলত আজ হিন্দু ধর্মালম্বীদের মহা অষ্টমির দিন বিদায় স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। সাংবাদিক ও শিক্ষা বিভাগের তৎপরতার জন্য তরিঘরি করে জরুরি বিভাগে প্রধান শিক্ষক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দাবী এলাকাবাসীর ।
Leave a Reply