বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাওর উন্নয়নে হাওর বোর্ড গঠন করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১০ হাওর বোর্ডকে পুনর্জীবিত করনের লক্ষে, হাওরবাসীর দুঃখ-দুর্দশা বিবেচনায় হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠন করে হাওরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় হাওরবাসীর উন্নয়নে নদী ও খাল খনন হাওর বেসিস প্রকল্প প্রণয়ন করে কাজ করে যাচ্ছে। জলাবদ্ধতা ও নদীর ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি জেলায় পাচঁশত কিলোমিটার নদী সাড়ে চারশত কিলোমিটার খাল খনন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সিনিয়র সচিব বলেন হাওড় অঞ্চলের ফসল রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন। নেত্রকোনার হাওর পরিদর্শনকালে গতকাল ১৩ এপ্রিল নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমানের সভাপত্বিতে জেলা প্রশাসকের হলরুমে মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
মত বিনিময় সভার শুরুতে জেলা প্রশাসক হাওরের আশঙ্কাজনক সময় ও বর্তমান অবস্থা তোলে ধরেন। এসময় বক্তব্য রাখেন নেত্রকোণা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত, কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এফএম মোবারক আলী, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযুদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ, মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি, খালিয়াজুরী উপজেলা কর্মকর্তা এএইচ এম আরিফুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক এম,মুখলেছুর রহমান খান, প্রিন্টও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমবেতজনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বর্তমান সরকার কৃষক বান্ধব সরকার, কৃষকদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হাওর পাড়ের ভাগ্য উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় সজাগ রয়েছেন। তাই তিনি হাওরের কোন সমস্যা হলেই ছুটে আসেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বন্যার কবল থেকে বাধ রক্ষা করায় জেলা প্রশাসন, সাংবাদিক ও এলাকার কৃষকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন প্রতি বছর হাওরের বাঁধ আরও আগে শেষ করতে হবে। হাওরে প্রচুর বনায়ন করতে হবে। বিশেষ করে বাঁধের দুই পাশে হিজল ও করচ গাছের বন তৈরি করতে হবে।তিনি পিআইসি নির্ধারনের ব্যাপারেও আরও সজাগ থাকার পরামর্শ দেন।
Leave a Reply