কেন্দুয়া প্রতিনিধি ঃ নেত্রকোনার কেন্দুয়া ছাত্রলীগের উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ শাখার কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ১৩ জুলাই নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল আওয়াল শাওন ও সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহম্মেদ খান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জীবন বৃন্তান্ত জেলা কমিটিতে পাঠানোর জন্য। সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ হতে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে। প্রায় একযুগ পর এমন সংবাদ পেয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কেন্দুয়া উপজেলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ দলীয় লোকজন।
বিজ্ঞপ্তি মাধ্যম জানা গেছে, কেন্দুয়া, মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী ছাত্রলীগ নতুন কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদেরকে ১৫ হতে ১৬ জুলাই তারিখের মধ্যে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নের্তবৃন্দের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়েছে। এতে উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ শাখার ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে। জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তি সোসাল মেডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় প্রায় একযুগ পর কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগে ফিরে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্য, চাঙ্গা হয়ে উঠেছে প্রায় ঝিমিয়ে পড়া রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ। নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য শুরু হয়েছে লবিং।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রত্যাশা- মাঠের পরিক্ষিত, ত্যাগী, সৎ ও নির্ভিক ছাত্র নেতাকর্মীরাই যেন সভাপতি সম্পাদকের নেতৃত্বে আসেন। কেন্দুয়ায় সর্বত্র এখন আলোচনা কে হবেন কেন্দুয়া ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। প্রকাশ থাকে ১৯৯৭ সনে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে সভাপতি এবং আব্দুস সালাম বাঙালিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। তার পর ২০১৩ ইং সনে বরকতউল্লাহকে সভাপতি এবং আবির আহম্মেদ খান রুজেলকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু‘ ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি একবছরের কিছুদিন পরই বিলুপ্ত ঘোষণা করে নেত্রকোনা জেলা কমিটি। সেই থেকে আর কমিটি গঠন করা হয়নি। এছাড়া কেন্দুয়া পৌরসভা গঠিত হলেও পৌর ছাত্রলীগ কমিটি করা হয়নি। তেমনি কলেজ শাখার ছাত্রলীগেরও কমিটি নেই দীর্ঘদিন। এসব কারণে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চারভাগে বিভক্ত হয়ে পালন করতে দেখা গেছে। এগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন সদ্য প্রয়াত নেতা আবির আহম্মেদ খান রুজেল, আব্দুল আওয়াল, আলী হোসেন, আপেল মাহমুদ, আবুল মনসুর ভূইয়া, ইখতিয়ার হোসেন তালুকদার, আনোয়ার হোসেন, জুনাইদ আহম্মেদ, রাতুল হক বাবু, সাফিন আহম্মেদ ভূইয়া প্রমূখ। তাদেরই ক’জনসহ ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ধরে রাখতে নবীণ-প্রবীণ দুই ডজন নেতাকর্মীর ডাটাবেজ জেলায় জমা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের ক’জন জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের কমিটিগুলো করতে পারলে নির্বাচনে ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারবো। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দলীয় প্রতিটি কাজে ভ্যানগার্ডের মত কাজ করে যাচ্ছে। আমরাও সেই ভাবেই কাজ করে যাবো।
Leave a Reply