বিশেষ প্রতিনিধি ঃ-: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদনশীলতায় প্রযুক্তিকে আপন করে নিতে না পারলে আমরা বিশ্ব থেকে ছিটকে পড়ে যাবো বলে মন্তব্য করেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। রবিবার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে বিসিক নেত্রকোণা জেলা কার্যালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মনির হোসেন, নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম মোখলেছুর রহমান খান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোণা বিসিক শিল্প নগরীর উপব্যবস্থাপক মোঃ আকরাম হোসেন।নিবার্হী ম্যাজিস্টেট নিয়াজ মখদুম এর সঞ্চালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোণা বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম আকন্দ, সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান তালুকদার, কৃষিবিদ মোস্তাসিন রেজা প্রমুখ।সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস আরোও বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিসিক শিল্প নগরীতে গ্যাস সংকট সমাধানে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এছাড়াও বিসিকের অভ্যন্তরে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেন। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুব সমাজকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে বিসিক, টিটিসি ও যুব উন্নয়নকে আহব্বান জানান।তিনি আরোও বলেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষের চিন্তার জগত, জীবনধারা থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন, সেবা প্রদানসহ সকল ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শিল্প বিপ্লবের ব্যাপকতা, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিকতা ও সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন আত্তীকরণ একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ‘আমাদের জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এ লক্ষ্যে একটি গুরুতপূর্ণ পদক্ষেপ’ এ কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালন করার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের নিকট উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব যথাযথভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে। স্বাগত বক্তব্যে বিসিকের উপব্যবস্থাপক মোঃ আকরাম হোসেন বলেন, এবছর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদনশীলতা’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০’ সামনে রেখে টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply