বিশেষ প্রতিনিধি: নিজেকে দুর্গাপুরের রাজা মনে করেন তাছাড়া সেই হিসাবে পরিচয়ও দেন এমনকি পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের এক সচিবের নাম ও বিক্রি করেন তিনি তার নাম মোঃ হযরত আলী চাকরি করেন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাময়িক স্টোর কিপার হিসাবে। জানা যায়,২৬/১২/১৯ তারিখে ডাঃ মোঃ আবুল কালাম পরিচালক স্বাস্থ্য ময়মনসিংহ এক আদেশের মাধ্যমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ হযরত আলীকে সাময়িক ভাবে উক্ত প্রতিষ্টানের ষ্টোর কিপার হিসাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।এরপর থেকেই শুরু হয় হযরত আলীর উত্তান রাতারাতি তিনি কোটিপতি বনে যান দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে তিনি অনিয়মের পাহাড় হিসাবে গড়ে তোলেন।
তিনি নিজেকে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের এক সচিবের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে টি এইচ ও সহ জেলার সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভয় দেখান টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিরবে চালিয়ে যেতে থাকেন দুর্গাপুরে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিয়মিত অফিস করেন না,অফিসের সময়ে তাকে তার রুমে পাওয়া যায় না।ভুক্তভোগিরা সেবা নিতে গেলে অনেক খুজাখুজি করে তাকে পেলেও তিনি নিয়ম-নীতির তুয়াক্কা না করে তাদের সেবা না দিয়ে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন।তার অত্যাচারে দুর্গাপুরের সাধারন মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। হযরত আলীকে অফিস আদেশ অবমাননার জন্য ৬/২/২২ তারিখে কৈফিয়ত তলব করেন তৎকালিন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুনুর রহমান এবং সেখানে তিনি পরিস্কার উল্লেখ করেন,হযরত আলী অফিসের কোন নিয়মনিতির তোয়াক্কা করছেন না তাছাড়া ডাঃ মামুনুর রহমান তাকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তার নিকট রক্ষিত ২০১৯-২০২০,২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ অর্থবছরের এপিপি সহ এম এস আর ফাইল ও এম আর ক্যাম্পিনের বিল অত্র কার্যালয়েরর প্রধান সহকারী কাম- হিসাবরক্ষক প্রদীপ কুমার দাস এর নিকট বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন ।
এত অনিয়মের ভার সহ্য করতে না পেরে ১৪/০২/২২ তারিখে তৎকালিন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্ত্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মামুনুর রহমান হযরত আলীকে দুরবর্তী কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সুপারিশ করে চিটি দেন। চিটিতে তিনি হযরত আলীর টেন্ডারবাজী,কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন হয়রানি করা অসৌজন্যমুলক আচরন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অবমাননার কারনে কারন দর্শানোর নোটিশের জন্য হুমকি প্রদান করা ইত্যাদি অনিয়মের কথা উল্লেখ করেন। গেল ১৮/০৯/২২ তারিখে হযরত আলীকে স্টোর কিপারের দায়িত্ব থেকে বাতিল করে পুর্বের স্বাস্থ্য সহকারী পদে যোগদানের জন্য চিটি দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারি পরিচালক ( প্রশাসন-১) ডাঃ মোহাম্মদ মাইনুল হক খান। কিন্তু চিটির বাস্তবায়ন ০১/১০/২২ তারিখ পর্যন্ত হয়নি।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বর্তমান দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা সজিব রায় বলেন,হযরত আলীকে স্টোর কিপার থেকে বাতিলের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশটি পেয়েছি বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগবে। এদিকে টেন্ডার এ অনিয়মের কারনে নেত্রকোনার সিভিল সার্জনসহ হযরত আলীকে অভিযুক্ত করে দুর্গাপুর কোর্টে ৩২৫/২০২২ নাম্বার অন্যপ্রকার মামলা করেন দুর্গাপুর উপজেলা কমপ্লেক্সের বর্তমান ঠিকাদার স্বপন কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, হযরত আলী টেন্ডারে অনিয়ম,টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হুমকি,সহকর্মীদের গালিগালাজ, ঠিকাদারদের হয়রানি,তাকে টাকা না দিলেই ঠিকাদারদের লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত অর্থাৎ এমন কোন অনিয়ম নেই যা তিনি করেন নি ।
Leave a Reply