নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে অটো চলাচলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু’গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষে ৫০জন আহত হয়েছে। ৫ ঘন্টা ব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় অর্ধশতাধিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।,ঐ সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো মোহনগঞ্জ শহরে আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করে। বিকালে সংঘর্ষ থামলেও শহর জুড়ে এ রির্পোঠ লিখা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই মমতাজ উদ্দিন (৪৫), ইত্তেফাক সংবাদদাতা এস.এম সারোয়ার খোকন (৬৩) সহ ৩৭ জনকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পেরিরচর গ্রামের জোসেফ (২২) ও শেওড়াতলী গ্রামের আকাশ (২৩) কে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।,
জানাযায় মোহনগঞ্জ পৌর শহরের স্টেশন রোডের রেল ক্রসিং মোড় এলাকায় অটো চলাচলের নিয়ন্ত্রণ ও ওয়েবিল (টোল) নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ওই সংঘর্ষ বাঁধে। ঐ এলাকার অটো নিয়ন্ত্রণকারীরা লাঠি- সোটা নিয়ে আধা ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে অচল অবস্থা সৃষ্টি করে। অটো নিয়ন্ত্রণকারী অপরপক্ষ লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আসলে সংঘর্ষ বাঁধে। উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পথচারীসহ অটোচালকরা আহত হয়। পাইলট স্কুল সংলগ্ন সুইচ গেইট , হোটেল পট্টি, রেল ক্রসিং হতে কাজী অফিসের মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ ঘন্টা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে শতশত লোকের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
সংঘর্ষের সময় নিরীহ পথচারীরাও আহত হয়। মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত আহতরা হলেন- বিকাশ (২৮), সাইদুর (৩৫), শ্রাবণী (১১), শরীফ মিয়া (১২), নূরুল আমিন (৩২), রতন মিয়া (২৬), আব্দুর রাজ্জাক (৬০), রাব্বী (২১), শাহীন (৫০), রেজাউল (৪০), আলী হোসেন (১৬), রানা (৩১), পুলিশের এসআই মমতাজ উদ্দিন (৪৫), নূর নবী (৩৫), সোহাগ (৩৫), তানভীর আহম্মেদ (১৭), জুমন মিয়া (২০), শাহআলম (২৫), নাজমুল ইসলাম (৩০), আলীম পাঠান (৫০), হাসান (৩৫), আকাশ (২৩), শহীদ আলম (৩২), মাসুম (২২), কিবরিয়া (৩০), জোসেফ (২২), বাবুল মিয়া (৫০), জুয়েল (২৮), নয়ন মিয়া (৪৮), তুষার (২১), রব্বানী (২২), আকাশ (১৪), মারুফ (১৭), আব্দুর রাজ্জাক (৬০), মঞ্জুরুল হক (৪২), শাহেল (২৬), রুমন (২৫), সাংবাদিক এস.এম সারোয়ার খোকন (৬৩) প্রমুখ। এছাড়াও আহতরা বিভিন্ন ঔষধের দোকান থেকে চিকিৎসা নেয়।
সংঘর্ষের সময় সুইচ গেইট , স্টেশন রোডস্থ হোটেল পট্টি ও খাদ্য গোদাম পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় একটি মোটর সাইকেল পুড়ানো সহ ৪০/৪৫টি অটোরিক্সা ভাংচুর করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি, সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম, বারহাট্টা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, ওসি রফিকুল ইসলাম সহ পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে অবস্থান করে প্রায় ৫ ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলার রিজার্ভ বেঞ্চের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরো বলেন সংঘর্ষে এসআই মমতাজ উদ্দিন আহত হয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। সংঘর্ষের সময় টিয়ারশেলের ছাড়া হয়।
Leave a Reply