বিশেষ প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছাত্র অভিভাবক ভূয়া বলে গাগলাজুর গ্রামের টিটু বেগ উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ছেলে পৌর শহরের রাউৎপাড়া পরিচয়ে মোঃ সাদ শেখ বাড়ী’ ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ইং তারিখে প্লেতে ভর্তি করেন। তার রোল নং ৪৭, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ। ,
নার্সারীতে তার রোল ৩৭, ২০২০ শিক্ষাবর্ষ। প্রথম শ্রেণি রোল নং- ২৯, ২০২১ শিক্ষাবর্ষ। সাদের পিতা গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য ১ জানুয়ারি, ২০২২ইং ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে ভর্তি করেন। তার রোল নং- ৪৩। সে অত্র বিদ্যালয়ের অনিয়মিত ছাত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোঃ সাদ মোহনগঞ্জ পৌরসভা’ দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণি থেকে নিয়মিত ছাত্র। শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির রোল নং- ২।
উক্ত বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকাও গ্রহণ করেছে। গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির ছেলে স্কুলে গড় হাজির থাকলে ওই বিদ্যালয়ের অপর ছাত্র অভিভাবকের সন্দেহ হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শফিউল কবীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত হওয়ার পর তার ছেলে ওই স্কুলে আর যায়নি। গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমন বলেন, সভাপতির ছেলে স্কুলে গড় হাজির রয়েছে। দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ২৪ নভেম্বর মোঃ সাদ এর পিতা শফিউল কবীর বিদ্যালয় হতে ছাড়পত্র নিয়েছে। ছাড়পত্র নং- ৮/২২।
গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিউল কবীর বলেন, আমি ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি। আমার ছেলে মোঃ সাদ দৌলতপুল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র ছিল বটে। প্রয়োজনে আমি এখান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমা দিব।
ম্যানেজিং কমিটির অপর সদস্য টিটু বেগ লিখিত অভিযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনা প্রমাণিত হলে শফিউল কবীরকে সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। তিনি আরো বলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিপ্লব সরকারকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি।
Leave a Reply