দিলওয়ার খানঃ- সাধারণ নাগরিকের কাছে প্রিয় মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ।তিনি অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেছেন। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে একজন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এমনই একটি ভালোবাসার অর্ঘ্য (চিঠি) পেয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। কোন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাকে পূর্বের কর্মস্থল থেকে যখন সাধারণ মানুষের আবেগ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত করে তাঁকে ই-মেইল করে কৃতজ্ঞতা জানায় ও তাঁর জন্য দোয়া করে তবে স্বভাবতই তাঁর নিজের কর্মের জন্য গর্বে মাথাটা উড্ডীন হয়। উৎসাহিত হয় পরবর্তী কর্মে অধিকতর মনোযোগী হওয়ার। সেবার জন্য বৃদ্ধি পায় মানসিক শক্তি।,
জেলা প্রশাসককে এমনই একটি পত্র দিয়েছেন সাবেক কর্মস্থল চাঁদপুর থেকে মোঃ আনোয়ার হোসেন নামের এক উপকারভোগী। পত্রে তিনি লিখেছেন , চাঁদপুরে থাকাকালীন সময়ে প্রতি বুধবারের যে গণশুনানি হতো তাতে অংশ করে ছিলেন আনোয়ার, তার ধারের টাকা উত্তোলন করতে পারছিলেন না, তাই তিনি জেলা প্রশাসক এর গণশুনানিতে তার অভিযোগ দায়ের করলে জেলা প্রশাসক এর উদ্যোগে আনোয়ার তার টাকা ফেরত পান। পরে তিনি নেত্রকোণায় বদলি হয়ে চলে আসেন, কিন্তু তাঁর এই উপকারের কথা ভুলেন নি আনোয়ার। তিনি চিঠিতে জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর এই উপকারের কথা আনোয়ার ভুলবেন না বলেও জানান। এবং তিনি জেলা প্রশাসক এর দীর্ঘ হায়াত কামনা করেন।এতে করে বুঝা যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় সাধারণ মানুষের সাথে কতটা মিশে গিয়েছিলেন তিনি।,
জেলা প্রশাসক হিসেবেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্পিত দায়িত্ব ও জনসাধারণের মনের কথা বুঝতেন তিনি।অঞ্জনা খান মজলিশ তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, চাঁদপুর থেকে একজন সাধারণ নাগরিকের ই-মেইল পেলাম। যিনি চাঁদপুর থাকাকালীন গণশুনানীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রার্থনা করি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি, তিনি যেন গরিব, অসহায় মানুষগুলোর জন্য কিছু ভালো কাজ করে যাওয়ার তৌফিক দান করেন। আমি যেন সরকারের দায়িত্ব থেকে সাধারণ নাগরিকদের সেবা দিতে পারি। (জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান) এআরএফবি,)
Leave a Reply