বিশেষ প্রতিনিধি ঃনেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান-সিয়াদার ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের কাছে ভিজিডি কার্ডের নামে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে ৪নং মাঘান সিয়াধার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রনক মিয়া ও তার সঙ্গি বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে। ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের ভিজিডি কার্ড নিতে হলে মেম্বারকে ৫০০০,হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেছে মর্মে বিভিন্ন প্রমানসহ মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন কুড়েরপাড় গ্রামের মোঃ সুজন মিয়া। অভিযোগ করায় সুজনের উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে মেম্বার রনক ও তার ভাই মাছুম মিয়ার বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে এলাকার দোকান পাটসহ ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪নং মাঘান সিয়াদার-ইউনিয়নের কুড়েরপাড়, পুটিউগা ঘোড়াউত্রা গ্রামসহ এলাকার বেশকয়েকটি গ্রামের গরীব অসহায়দের কাছে ভিজিডি কার্ডের নামে মেম্বার ও তার সঙ্গি বাদশা মিয়া টাকা দাবি করেছে বলে মেম্বারের মোবাইল ফোনের রেকর্ড সহ টাকা নেয়া দেয়ার দাবির বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা উপস্থাপন করেছেন এলাকার হতদরিদ্ররা। মেম্বার রনক মিয়ার কল রেকর্ডে রয়েছে ৫০০০/ অথবা ৩৫০০, টাকা না দিলে ভিজিডি কার্ড দেয়া যাবে না। এই নিয়ে মেম্বারের প্রতি এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এছাড়া বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধুবা ভাতার কার্ড দিয়ে টাকা নিয়েছে এমন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মেম্বারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত ১২-১২-২২ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে এমন অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোছাঃ হেলেনা আক্তার স্বামী আবুল ফকির, বেগম আক্তার স্বামী আব্দুল মন্নাফ, পুতুলা আক্তার স্বামী এলাই মিয়া, মোছাঃ রাজিয়া আক্তার স্বামী সুজন মিয়া, রিনা আক্তার স্বামী মোঃ সোনা মিয়াসহ ৩০ থেকে ৪০,জন অসহায় মানুষ একত্রিত হয়ে মেম্বারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি সরজমিনে এসে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিলে মেম্বারের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এই নিয়ে ইউপি সদস্য রনক মিয়ার সাথে কথা বললে জানায় আমি ৮ হাজার পাচঁশত টাকা নিয়েছি।
এ ব্যপারে মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন অভিযোগকারি সুজনকে বলেছিলাম অভিযোগ না করার জন্য। অভিযোগের বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply