বিশেষ প্রতিনিধিঃ–সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, সারা বিশ্বের তোলনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় পরিসরে বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে প্রতি বছরই প্রায় ৭ লক্ষ বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এত বড় পরিসরে মাস ব্যাপী বই মেলা বিশ্বের অন্য কোথায়ও হয় না।,
৩০ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী নেত্রকোনা জেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে বক্তৃতায় ¯স্থানীয় পাবলিক হলে এসব কথা বলেন তিনি।এ সময় তিনি আরও বলেন, নেত্রকোনা জেলা সাহিত্য সংস্কৃতির দিক থেকে অনেক সমৃদ্ধ। এ জেলার সাহিত্য কর্ম দিয়ে বৃহত্তর মহয়নসিংহকেও সমৃদ্ধ করেছে। বৃৎত্তর ময়মনসিংহ এলাকার অংশ হিসেবেই শুধুমাত্র এক সময় নেত্রকোনাকে চেনা হতো। তখন লেখা হয়েছিল বিশ্বখ্যাত ময়মনসিংহ গীতিকা।,
তৎকালীন সময়ে ময়মনসিংহ গীতিকা না লিখে এখন লিখা হলে গীতিকাটির নামাকরণ হয়ত করা হতো নেত্রকোনা গীতিকা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জেলা পর্যায়ে সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা একাডেমীর সমন্বয়ে জেলা প্রশাসন দু’দিন ব্যাপী ওই মেলার আয়োজন করে। মেলায় রয়েছে প্রবন্ধপাঠ, লেখক কর্মশালা, কবি কন্ঠে কবিতা ও ছড়া পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা।,
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন- নেত্রকোনা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিল, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. শামীম খান, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট আমিরুল ইনলাম, সাধারণ সম্পাদক শামছুল রহমান লিটন প্রমূখ।,
আলোচনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমীর পান্ডলিপি সম্পাদক আবু শামস্ নূর মোহাম্মদ। আলোচনা সভা শেষে প্রবন্ধ পাঠ করেন- প্রাবন্ধিক ও ছড়াকার সঞ্জয় সরকার, কবি ও প্রাবন্ধিক সরোজ মোস্তফা এবং গবেষক ও প্রাবন্ধিক রাখাল বিশ্বাস। এসব প্রবন্ধকারদের প্রবন্ধ পাঠের পর প্রবন্ধগুলো নিয়ে আলোচনা করেন স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার এবং অধ্যাপক বিধান মিত্র।
Leave a Reply