দিলওয়ার খান। নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এরঁ ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তি হয়েছে। নেত্রকোণা জেলার সর্বস্তরের জনগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সামাজিক ও বিভিন্ন সংস্থা সামাজিক সংগঠনগুলো প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তিনি এর আগে গত ২০২১ সালের আজকের এই দিনে প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসক হিসেবে চাঁদপুরে যোগদান করেন। এক বছর পাঁচ মাস দায়িত্ব পালনের পর গত ২০২২ সালের ১লা জুন নেত্রকোণা জেলায় বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন । ,
অঞ্জনা খান মজলিশ অত্যান্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে চাঁদপুরে ও বর্তমানে নেত্রকোণায় জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা প্রশাসক হিসেবে সৎ নিষ্ঠা ও নির্ভীকতার সাথে জনস্বার্থে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে। আগামীর সুন্দর ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অপরাধ নির্মূলসহ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড কটোর হস্তে দমন করেছেন তিনি।নেত্রকোণায় জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের মাত্র এই ছয় মাসের মধ্যেই জেলার সর্বসাধারণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তাঁর অসাধারণ প্রতিভা ও কর্মদক্ষতায়। যোগদানের পরপরই আমন মৌসুমে সারাদেশে সার সংকটে কৃষক সাধারণের মাঝে উৎকন্ঠা দেখা গেল। তিনি কঠোর হস্তে প্রত্যেকটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ে সার বাজার মনিটরিং করেন।,
বিশেষ করে ধান উদ্ধৃত জেলা হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শুধু চাহিদামাফিক নয় তার অতিরিক্ত সার বরাদ্দ এনেছেন নেত্রকোনায়। বর্তমানে জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। উৎপাদনও হচ্ছে অধিক। এটা এই জেলা প্রশাসক এর অন্যতম সফলতা।শুধু তাই নয়, নেত্রকোণার সীমান্ত এলাকার সোমেশ্বরী নদী ও মহাদেও নদের ইজারাদারদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে থামিয়েছেন অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন, করেছেন জরিমানা ও ড্রেজার বিনষ্ট এমনকি বাতিল করেছেন ইজারাও।তাঁর নেতৃত্বে বিগত পাঁচ মাসে গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে সারাদেশের সালিশ মিমাংসায় প্রথম হয় নেত্রকোণা জেলা। এটা অন্যরকম দৃষ্টান্ত। তিনি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেন।কলমাকান্দা সীমান্তের রাস্তা দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত ভুমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ছিলো, তিনি যোগদানের পরপরই এই জটিলতা নিরসন করে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব সরকারকে ফেরৎ দিয়ে সমাধান করেছেন দীর্ঘদিনের সীমান্তবাসীর সমস্যা।,
এছাড়াও প্রতি বুধবার সারা জেলার মানুষ আশায় থাকে, কখন দেখা হবে জেলা প্রশাসকের সাথে। প্রতি বুধবার গণশুনানি হয়, পারিবারিক ও ব্যক্তি সমস্যা গুলো যখন আইনের সাহায্যে বা অন্য কোন উপায়ে সমাধান করতে পারে না, সেই অব্যক্ত কথাগুলো নিয়ে গণ শুনানিতে আসেন একজন ভুক্তভোগী। আর তাৎক্ষণিক সমাধান করে দেন তিনি। দুই বছর পূর্তিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি যিনি সব-সময় নারীদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করেন।,
তিনি আমার উপর আস্থা রেখে দুটি জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রশাসন সহ আমার সকল বিভাগের সহকর্মীদের প্রতি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা সব-সময় আমার শক্তি হিসেবে পাশে ছিলেন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতি এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি চাঁদপুর ও নেত্রকোণা জেলার আপামর জনসাধারনের প্রতি। এসময় তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন
Leave a Reply