কেন্দুয়া প্রতিনিধি :নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বিপুল পরিমাণে নকল বাসুডিনসহ নানা রকমের কীটনাশক আটক করা হয়েছে। গতকাল সাহিতপুর বাজারে সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া ৩০০ কেজি নকল বাসুডিন আটক করে উপজেলা কৃষি অফিসে নিয়ে গেলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলার রোয়াইলবাড়ি বাজারে দু’টি গোডাউন অভিযান চালালে সেখানেও মেলে বিপুল পরিমাণের বাসুডিন ও বিভিন্ন রকমের কীটনাশক । সুত্র জানায়,উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউপির আমতলা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত হাদিস মিয়ার ছেলে রতন মিয়া ৩০ কাটুন নকল বাসুডিন অটোরিকশা করে বিক্রয়ের উদ্দেশে সাহিতপুর বাজারে নিয়ে গেলে নকল কীটনাশক দেখে চিনে ফেলে। পরে উপজেলা কৃষি অফিসারকে বিষয়টি জানালে অফিসের নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পরে নকল পণ্য দেখে স্থানীয় কৃষি অফিসারকে রতন মিয়ার গোডাউন তল্লাশীর নির্দেশ দেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক রোয়াইলবাড়ি বাজারে ছুটে যান উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো.ওহিদুজ্জামান বাদল ও মো.রিয়াজুল ইসলাম। তারা গিয়ে দেখেন রতন মিয়া অবৈধ মালগুলো সরিয়ে নিতে অটোরিকশা বোঝাই করছেন। তাদের উপস্থিত টের পেয়ে রতন মিয়া কৌশলে সটকে পড়েন।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো.ওহিদুজ্জামান বাদল জানান, ধানী জমিতে পোকাদমনের জন্য এক সময় বাসুডিন (ডায়াজিনন) নামে একটি কীটনাশক প্রোডাক্ট বাজারে ছিল। কিন্তু প্রায় ১০ বছর আগে এই পণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ছুটে যান ইউএনও কাবেরী জালাল ও কৃষি অফিসার শাহজাহান কবির। পরে তার গোডাউন তল্লাশি নকল বাসুডিনসহ বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক পাওয়া যায়।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান কবির জানান,এক সময় সিনজেন্টার কোম্পানির বাসুডিন প্রোডাক্ট বাজারে খুব জনপ্রিয় ছিল। অনেক আগেই সরকার এই প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করে দেয়। এইগুলো নকল প্রোডাক্ট। আমরা তাঁর গোডাউন তল্লাশি করেছি। সেখানও প্রচুর নকল পণ্য রয়েছে। আর অন্য কোম্পানি কীটনাশক গুলো পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান তিনি। এব্যাপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল জানান,আমরা তাঁর গোডাউন তল্লাশি করে নকল কীটনাশক পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply