বিশেষ প্রতিনিধি ঃ“পূবালী বাতাসে,আষাঢ় মাইশা ভাসা পানি”সহ অসংখ্য গানের রচয়িতা মরমী বাউল সাধক উকিল মুন্সি স্মরণে বাউল উৎসব ও নবনির্মিত স্মৃতি কেন্দ্র উদ্বোধন করা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার জৈনপুরে বাউল উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ ও উকিল মুন্সি স্মৃতি পরিষদ এ উৎসবের আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যায় নির্ধারিত ০.৫৩ একর ভূমিতে নবনির্মিত স্মৃতি কেন্দ্র উদ্বোধন করেন,সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
বাউল উকিল মুন্সি স্মৃতি কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে এ উপলক্ষে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জির সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল,সংসদ সদস্য হাবীবা রহমান খান শেফালী,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার সজল,সম্মানীত অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
উল্লেখ্য,বাউল সাধক উকিল মুন্সি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামে ১৮৮৫ সালের ১১ জুন ধনাঢ্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক নাম আবদুল হক আকন্দ। বাবার নাম গোলাম রসুল আকন্দ,মা উকিলেরন্নেসা। শৈশবে তিনি ঘেটুগানে যোগ দেন।
পরে গজল ও পরিণত বয়স থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাউল সাধনায় লিপ্ত ছিলেন। তার বিখ্যাত গান-‘পূবালী বাতাসে,আষাঢ় মাইশা ভাসা পানি,আমার গায়ে যত দুঃখ সয় বন্ধুয়ারে করো তোমার মনে যাহা লয়,
আমার প্রাণবন্ধু আসিয়া কাছেতে বসিয়া’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গুরুত্বপূর্ণ গান লিখেছেন। পাশাপাশি তিনি মসজিদে ইমামতিও করতেন। গান ও ইমামতি একসঙ্গে করার বিষয়টি বিস্ময়কর হলেও উকিল মুন্সি তা সম্ভব করেছিলেন। তাঁর ছেলে আবদুল ছাত্তারও এই অঞ্চলের জনপ্রিয় বাউল ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ৯৩ বছর বয়সে বাউল সাধক উকিল মুন্সি মৃত্যুবরণ করেন।
Leave a Reply