বিশেষ প্রতিনিধি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার পুলিশের বিশেষ অভিযানে অজ্ঞান পার্টির ৫ সদস্যর মধ্যে ৪ সদস্য আটক করতে রকম হয়েছে।২ এপ্রিল তাদের নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে শনিবার তাদেরকে মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।আটকরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার উত্তর বীর বাদশাগঞ্জ এলাকার মো. সোহেল মিয়া (২২), মো. সিরাতুল ইসলাম (৩৫), মাটিকাটা গ্রামের হারিচ মিয়া (৫০) ও আবু তাহের (৩৫)।
এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ উপজেলার মানশ্রী গ্রামের ভুক্তভোগী মোছা. কুলসুমা আক্তার বাদী হয়ে ওই চারজনসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী কুলসুমা বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর)২০২২ ইং সকালে মোহনগঞ্জ পৌরশহরে বিএনপি মোড় থেকে একটি অটোরিকশার তাকে মানশ্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তুলে নেয়। উঠার পর একটু সামনে গিয়ে আরও তিন-চারজন ওই অটোতে উঠেন। পথে মাইলোড়া মাঠের কাছে গিয়ে একটি কাগজে কিছু লিখা পড়তে তার হাতে দেন অটোচালক।
লাল কালিতে লেখা ওই কাগজটি খুলে পড়তে গিয়ে কুলসুমা অজ্ঞানের মতো হয়ে যান। তারপর থেকে সবকিছু দেখতে, শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু কিছুই বলতে বা বুঝতে পারছিলেন না তিনি।
এই সুযোগে ছিনতাইকারীরা তার কানে থাকা স্বর্ণের দুল, হাতের বালা ও ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা সাতা হাজার টাকা নিয়ে যায়। তিনি দেখেও তা প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরে তাকে এমন অবস্থায় মাঠের কোণে নামিয়ে রেখে চলে যায় তারা।
স্থানীয়রা কুলসুমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সুস্থ্য হয়ে কাউকে কিছু না বলে এমনকি থানা পুলিশকেও ঘটনা না জানিয়ে নিজেই ওই অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খুঁজতে থাকেন। মাস খানেক আগে একদিন চক্রের একজন সদস্যকে বাজারে দূর থেকে দেখতে পেলেও সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
কুলসুমা আরও বলেন, গতকাল শনিবার পৌরশহরের গোডাউন মোড়ে সেই অটোচালককে দেখে ফেলি। আমাকে দেখে মুখ লুকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তাকে ধরে পুলিশে খবর দেই। তখন সবার সামনে তার নাম মো. সোহেল মিয়া ও ঠিকানা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার উত্তর বীর বাদশাগঞ্জ বলে জানায়। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসবাদে ঘটনা স্বীকার করেছে। সেইসাথে এ চক্রের অপর চার সঙ্গীর নাম পরিচয় জানায় সোহেল।
মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোহেল মিয়াকে আটকের পর তার দেয়া তথ্যে অপর তিনজনকে আটক করি। তবে এ চক্রের আরেক সদস্য বারহাট্টা উপজেলার সিংধা গ্রামের সাইকুলকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। তবে তাকে ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আটক চারজনকে ওই নারীর করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার সকালে নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply