মোহনগঞ্জ সংবাদদাতা : ভিজিডি-ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের তেতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর (জহর) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও অভিযোগকারী একই ইউপির জৈনপুর গ্রামের নুরকবি মিয়াকে নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে উপযুক্ত স্বাক্ষী- প্রমাণ সহ হাজির থাকতে নোটিশে জানানো হয়েছে।,এর আগে গত ২৪ এপ্রিল এ নোটিশ দেয়া হয়।,
এতে মোহনগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জিকে উভয় পক্ষকে তদন্ত শুনানিতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, নির্দেশনা মোতাবেক উভয় পক্ষের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তারা নোটিশ রিসিভ করেছেন।স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষ্য প্রমাণ নেয়া হবে।, পরে তদন্ত করে যা পাওয়া যাবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।,
জানা গেছে, অতি দরিদ্রদের জন্য দেয়া ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী (জহর) ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাশেম সাইফুলের বিরুদ্ধে। একই ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নুরকবি মিয়া জেলা প্রশাসকসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন।,
এতে উপকারভোগীদের টিপ- স্বাক্ষর জাল করে ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রশাসন।,
তবে অভিযুক্ত তেতুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী (জহর) ও মেম্বার আবুল কাশেম সাইফুল তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা এ অভিযোগকে মিথ্যা-বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। তাদের দাবি- প্রতিপক্ষ তাদের সম্মান নষ্ট করার জন্য এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।,
Leave a Reply