মোহনগঞ্জ প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মাছ ধরতে খালের পাড় কেটে পুকুর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এলাকার কয়েকজন লোকের বিরুদ্ধে। অপরদিকে মল্লিকপুরের কমলেশচন্দ্র সরকারকে খুন করার হুমকি দেয় উক্ত কয়েক জন লোক।উপজেলার মাঘান-সিয়াধার ইউনিয়নের শেওরাতলী গ্রামের সামনে ডিঙ্গাপোতা হাওরে থাকা লাইটারধাইর নামক খালের পাড় কেটে ফেলা হয়েছে। পাড় কেটে কয়েকটি অংশে দেয়া হয়েছে পুকুর। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শেওরাতলী গ্রামের আব্দুল ছালামসহ বেশ কয়েকজন।,
খালের পাড় কেটে সর্বনাশ করার জন্য শেওরাতলী গ্রামের নুর নবী, মতিউর রহমান মেলেছ ও পলাশকে দায়ী করা হয়েছে।সোমবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়- গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খনন করা । এ খালটির প্রায় এক কিলোমিটার পাড় কেটে ফেলা হয়েছে। পাড়ের কয়েকটি অংশ কেটে দেয়া হয়েছে পুকুর। ফলে ছোট যানবাহন চলার মত প্রশস্ত খাল পাড় হয়ে গেছে সরু আইল।
আব্দুল ছালাম অভিযোগে বলেন, আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ধান কেটে খালের পাড়ে রাখতো। পরে কেউ নৌকায় করে, কেউ আবার ঠেলা গাড়িতে করে সেই ধান মূল সড়কে নিতে পারত। প্রস্ত খালের পাড় মাছের লোভে ভ্যাকু দিয়ে কেটে দিয়েছে এলাকার নুরনবীসহ কয়েকজন। কেটে তারা তাদের জমি বৃদ্ধি করেছেন। এখন খাল পাড়টি সরু আইলের মতো হয়ে গেছে।,
খালপাড়ের মাটি এখন আবার খালে পড়ে খালটি ভরাট হয়ে যাবে।এতে করে পাড়ে আর ধান কেটে রাখা যাবে না। চলাচল করাও সম্ভব নয়। গত বছর খনন করা এ খালটির বিশাল ক্ষতি তারা করেছেন। কয়েক গ্রামের কৃষক এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। মল্লিকপুরের কমলেশ চন্দ্র সরকার তার অভিযোগে জানা যায়, গলগলি মল্লিকপুর মৌজায়, জে,এর, নং ৭৫ , খতিয়ান নং ৪৩৯ দাগ নং ১০০ শ্রেণীর নামা তিন একর ৩৪ এর মধ্যে ৪০ শতাংশ জমি বেআইনিভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে তার ফসল নষ্ট করে। ,
প্রতিবাদ করলে খুন করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি তাকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন করেছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ মোহানগঞ্জ থানা। তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছেন।
অভিযুক্ত নুরনবী ও মতিউর রহমান মেলেছ বলেন, আমরা এই খালের পাড় কাটিনি। প্রতিহিংসামূলক আমাদের নামে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি- এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি সোমবার দুপুরে বলেন, ২ টি অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনারক (ভূমি) কে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে আমাদের লোকজন গিয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply