রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক জননেত্র সংবাদদাতা আবশ্যক মোহনগঞ্জে বাবরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন খালিয়াজুরী উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক হাবিবুল্লাহ মোহনগঞ্জে প্রধান শিক্ষককের  পদত্যাগের দাবিতে  মানববন্ধন নেত্রকোনায় মানবিক বিশেষ টিমের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের নতুন  আহবায়ক কমিটি গঠন কলমাকান্দায় জামিনে বের হয়েই বাদীর বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর নেত্রকোনা জেলায় মাদক বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম  মোহনগঞ্জের সাবা  নেত্রকোণাস্থ বারহাট্টা সমিতির উদ্যোগে নবনির্বাচিত ২ চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা কেন্দুয়ায় সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ, পোস্ট মাস্টার বরখাস্ত 

মোহনগঞ্জে লাল নিশান টানিয়ে দুই বড় জলমহাল দখলে নিল প্রশাসন

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩
  • ৩১০ পঠিত

মোহনগঞ্জ সংবাদদাতা ঃ দখল মুক্ত করে লাল নিশান টানিয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের ‘মরাধনু’ ও ‘গজারিয়া’ এ দুটি জলমহাল দখলে নিয়েছে প্রশাসন। উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের বরান্তর ও করাচাপুরের সামনে থাকা ওই দুটি জলমহালে লাল নিশান টানিয়ে দখলে নেয় প্রশাসন। এরআগে ওই দুটি জলমহাল ব্যক্তি দখলে ছিল। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ‘মরাধনু’ জলমহালটির আয়তন ২২২.৮৭ একর। রফিক আহমেদ কুতুব নামে এক ব্যক্তি  এক বছরের জন্য লীজ নেন। গত ১৩ এপ্রিল সময় শেষ হওয়ায় তিনি এটি ছেড়ে দেন।,

পরে স্থানীয় গোলাম রসুল খান মিষ্টু নামে এক ব্যক্তি আদালতের রায়ে এটি লীজ পেয়েছেন দাবি করে জলমহালটি নিজের দখলে রাখেন। এদিকে ৫০ একরের বেশি ‘গজারিয়া’ জলমহালটিও ৫০ একরের বেশি তিন বছরের জন্য লীজ পেয়েছিলেন সোহাগ মিয়া। গত ১৩ এপ্রিল এটিরও সময় শেষ হয়। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পরও নিজের আয়ত্বে রেখে মাছ ধরছিলেন সোহাগ মিয়া।,

এমন অভিযোগে রোববার জলমহালে লাল নিশান টানিয়ে দখলে নেয় প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, জলমহালের পরিমাণ ২০ একরের বেশি হলে এটির দরপত্র আহ্বান করা হয় জেলা প্রশাসন থেকে। সেই হিসেবে ওই দুটি জলমহাল জেলা প্রশাসন থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়।,,,

সম্প্রতি দুটি জলমহাল লিজের জন্য টেন্ডার হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোন মৎস্যজীবী সমিতি পেয়েছে এটা এখনো প্রকাশ হয়নি। মরাধনু জলমহালটি দখলে রাখা বরান্তর গ্রামের গোলাম রসুল খান মিষ্টু বলেন, জলমাহলাটির ইজারা আমি বিগত তিন বছর ধরে দিয়ে যাচ্ছি। টেন্ডারে এটি আমার সমিতি লীজ পেয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে আমাকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। বারবার এ কথা জানানোর পরও প্রশাসন আজও আমাকে জলমহালটি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। কাগজে পত্রে জলমহালটি বুঝিয়ে দেওয়ার আগে আমি দেখাশোনা করছি।,

লোকজন দিয়ে প্রহরার ব্যবস্থা করেছি, মাছ ধরছি না। গাগলাজুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) শামীম আকন্দ বলেন, জলমহাল দুটি দখল করে রেখেছে এমন খবর পেয়ে গিয়ে লাল নিশান টানিয়ে রেখে এসেছি। যেন মানুষ জানে ওই জলমহাল দুটি প্রশাসনের অধীনে রয়েছে। সহাকারী কমিশনার (ভূমি) স্যারের নির্দেশে গিয়ে লাল নিশান টানিয়েছি। ,

অন্যসব বিষয় স্যার বলতে পারবেন। মোহনগঞ্জের সহাকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ আছে জলমহালটি প্রশাসনের দখলে থাকার। তাই লাল নিশান টানিয়ে দখলে নিয়ে লোকজনকে জানানো হয়েছে। মরাধনু নিয়ে যদি আদালতের আদেশ থেকে থাকে তাহলে জেলা প্রশাসন থেকে আমাকে সেভাবে নির্দেশ দেবেন।,,

কাউকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশনা জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া হলে সেই অনুযায়ী বুঝিয়ে দেয়া হবে। তবে এখনো এমন কোনো নির্দেশনা পাইনি। সর্বশেষ নির্দেশনায় জলমহালটি সরকারি দখলে রাখতে বলা হয়েছে। এখান থেকে কেউ মাছ ধরতে পারবেন না।,

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় জলমহাল দখলে নেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন:

এ জাতীয় আরও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

© All rights reserved © 2021 dainikjananetra
কারিগরি সহযোগিতায় পূর্বকন্ঠ আইটি