কেন্দুয়া প্রতিনিধি ঃ অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দুয়ার সেই সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত ১৮ ফেব্রæয়ারি স্বাক্ষরিত একপত্রে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম লিপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ১৬ ফেব্রæয়ারি একটি দৈনিকে “শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।,
এদিকে মহা-পরিচালক সেই অভিযোগ নামা প্রাপ্তির ১০ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানীতে অংশগ্রহণ করতে বিধিমালা অনুযায়ী ব্যব¯’া গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম লিপির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মহা-পরিচালক (গ্রেড-১) স্বাক্ষরিত পত্রে বিভাগীয় মামলায় যেসব বিষয় উল্লেখ করে অভিযোগ নামা দেয়া হয়েছে সে সব অভিযোগ নামার একটিও সত্যতা প্রমাণ হবে না।;
তিনি বলেন, কতিপয় শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে হয়রানি করার জন্য এসব অভিযোগ আনয়ন করে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।,
মহা-পরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষারিত পত্রে যে অভিযোগ নামা দেয়া হয়েছে এতে সান্দিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লাখ টাকার চেক প্রদান করতে ২০ হাজার টাকা দাবি এবং টাকা না পেয়ে জুন/২০২২ চেক নভেম্বরে প্রদান করা, কেন্দুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্বে থাকা কালীন অচঝঈ জরিপের ১২ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্বপালন কালে অর্থের বিনিময়ে অস্তিত্বহীন ৩৮/৩৯টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ওচঊগওঝ সফ্টওয়্যারে নতুন আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শুমারীতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া, অডিট কার্যক্রমের কথা বলে উপজেলা উজেলার ১৮২টি বিদ্যালয় থেকে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করা, বিদ্যালয় পরিদর্শনে বিভিন্ন শিক্ষকদের মোটরসাইকেল ও ১জন শিক্ষকের প্রাইভেট কার ব্যবহার করা, বিভিন্ন উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তিতে দেরি হলেও প্রায়শ: বিলের চেক বিলম্বে পরিশোধ করা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত লিফলেট বিতরণ ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে প্রতি বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার টাকা নেয়া, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন কালে সকল শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্ট্যাফদের সাথে আলাপ চারিতা অশালীন মন্তব্য, খারাপ আচরণ করা এবং দেরিতে অফিসে এসে প্রায় সপ্তাহে ১/২ দিন অফিস করার অভিযোগ রয়েছে।,
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধি মালার ২০১৮ মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্নীতির পর্যায়ভুক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম লিপি বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র যেভাবে ষড়যন্ত্র করছেন তা আমি মোকাবেলা করব।,
কোন অন্যায় করিনি অন্যায় সমর্থন দিয়ে আমি আমার কর্ম¯’ল থেকে অন্যত্র যেতেও চাই না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমার শাস্তি হলেও আমার কোন আপত্তি থাকবে না।
Leave a Reply