দিলওয়ার খানঃ নেত্রকোনায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দ্বারা নির্মিত ফসল রক্ষা বাঁধের কারনে প্রায় ৩০ হাজার একর জমির ফসল অকাল বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেল। হাওরে পানি প্রবেশের আগেই ৬ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার বাবদ ব্যয় হয়েছে মাত্র ৮ লক্ষ টাকার।
নেত্রকোনা বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুড় ইউনিয়নের বরান্তর মৌজায় বিএডিসি কর্তৃক প্রায় ১০ বছর আগে নির্মিত হয় ৬ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার বিভিন্ন নদ- নদীরপানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে হাওরাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান হুমকির মুখে পড়ে। জেলার ধনু নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পায়। পানি বৃদ্ধির ফলে বিএডিসি’র বাঁধটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়।
এ ব্যাপারে দ্রুত শুরু হয় বাঁধ সংস্কারের কাজ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়। গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ন জায়গা সংস্কার করা হয়। এতে তিন হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান রক্ষা পেয়েছে। বিএডিসি দ্বারা সংস্কার হওয়া বাঁধ এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকজন শ্রমিক বাঁধ এলাকায় কাজ করছেন। বাঁধের ওপর ফেলানো মাটি সমান ও সড়কের পাশে মাটি সড়ে না যাওয়ার জন্য আগাছা রোপন করছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর আলম চৌধুরী জানান, বিএডিসির মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়ায় মোহনগঞ্জের ডিংগাপোতা, বলরামপুর, খালিয়াজুরীর ইছাপুর, আসাদপুর ও মদনের গোবিন্দশ্রীসহ আরও বেশ কিছু হাওরের বোরো ফসল রক্ষা পাবে। বিএডিসি নেত্রকোনার নির্বাহী প্রকৌশলী খাদিজা আফরোজা বলেন, এরই মধ্যে বাঁধের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। যে কোনো সমস্যা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি রক্ষা করার জন্য বিএডিসি’র চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় জরুরী ভিত্তিতে প্রটেকশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিএডিসি কিশোরগঞ্জ সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের অংশটির বিপরীত পাশে মাটি দিয়ে আরেকটি বাঁধ তৈরী করা হবে। সেই সাথে স্থানীয় কিছু প্রযুক্তিকেও ঢেউ ঠেকানোতে কাজে লাগানো হবে।
Leave a Reply