বিশেষ প্রতিনিধি:নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল বাজার এলাকার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে মদন থানা পুলিশ।২৭ জুলাই ভোর ৪টার দিকে পুলিশি অভিযানে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারেরা হলো :- মদন উপজেলার কাইটাল ইউনিয়নের বাশরী (বাফলা) গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের মঞ্জিল হকের ছেলে অন্তর মিয়া (২৩)।কিশোরীটির পরিবারের বরাত দিয়ে মদন থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাজেদুল ইসলাম জানান, ১৪ বছর বয়সি ওই কিশোরীর বাড়ি মদন উপজেলার কাইটাল ইউনিয়নের একটি গ্রামে।
এ কিশোরীটি গত ২০ জুলাই একই উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের তার নানার বাড়ি থেকে তার মায়ের সঙ্গে ইজিবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা কাইটাইল বাজারের পাশে এসে ইজিবাইক থেকে নেমে রাস্তার একপাশে তার মা ইজিবাইকের ভাড়া দিচ্ছিলেন। তখন অন্য পাশে সে দাড়িয়েছিল। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি ইজিবাইকে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে এসে পাঁচ যুবক কিশোরীটিকে তুলে নিয়ে যায়।,
পরে কাইটাল বাজারের পাশবর্তী বাররী গ্রামের সেলিম মিয়ার একটি পরিতেক্ত ঘরে কিশোরীটিকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে তারা। পরদিন সকালে আবারও হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পায়। এ সময় বখাটেরা পালিয়ে গেলে কিশোরীর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় প্রতিবেশী লোকজন। পরে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।, এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে ২৬ জুলাই মদন থানায় ওই পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আসামি পাঁচ যুবক হলো ওই বাশরী (বাফলা) গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের ছেলে সারু মিয়া (২৫), কাঞ্চন বাবুর্চীর ছেলে বাছির মিয়া (২৭) ও শাহানুর মিয়া (৩৮)।,
অন্যরা হলো গ্রেফতারকৃত ওই দুই জন।ওসি (তদন্ত) জানান, গ্রেফতারকৃতদের নেত্রকোনার মদন মেজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।, অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্ট চলছে। এদিকে, ভিকটিম কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Leave a Reply