বারহাট্টা প্রতিনিধি ঃ নেত্রকোনার বারহাট্টায় কথা-কাটাকাটির জেরে পেটানোর পর কলেজের গেইট থেকে তুলে নেয়া কলেজ ছাত্র রিপন মিয়াকে (১৬) আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে সে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে এই ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রিপনকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। এতে সে ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না। রিপনের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা যায় ০১ নভেম্বর উপজেলার বাউসি অর্ধচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (স্কুল এন্ড কলেজ) গেইট থেকে রিপনকে পেটানোর পর তুলে নিয়ে যায় একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইমন (১৮) ও বাপ্পীর (১৮) নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষার্থী। রিপন এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ও এলাকার পূর্বদত্তখিলা গ্রামের মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একইদিন সন্ধ্যায় রিপনকে উপজেলার ছালিপুড়া গ্রামের একটি সেতুর পাশ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা।
আহত রিপনের নানা বাউসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দছ তালুকদার বলেন, রিপনকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রচন্ডভাবে মারধর করেছে। শরীরে লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, ঠিক মতো কথাও বলতে পারছে না। দীর্ঘদিন এই স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলাম। এমন জখন্য ঘটনা এটাই প্রথম দেখলাম। এ ঘটনায় রাতেই থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এখনো মামলা রেকর্ড হয় নাই।
বাউসি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছুল হক বুধবার বিকেলে বলেন, কলেজছাত্র রিপনকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার হওয়া উচিত। আমি চিকিৎসাধীন রিপনকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছি।বারহাট্টা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, এ ঘটনায় রিপনের ভাই মঙ্গলবার রাতেই মামলার আবেদন করেছেন। আবেদনের সময় তাঁর ভোটার আইডি কার্ডটি নিয়ে আসেননি। ভোটার আইডি কার্ডটি নিয়ে আসলেই মামলা রেকর্ড করা হবে।
Leave a Reply