মোহনগঞ্জ সংবাদদাতা: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে একটি মাজার শরিফের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১০জন গুরুতর আহত হয়েছেন।আশংকাজনক অবস্থায় ৮ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এক জনকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের কলুংকা গ্রামে অবস্থিত আজিজ শাহ’র মাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের পক্ষের লোকজনের সাথে কলুংকা গ্রামের রায়হান সিদ্দিকী ওরফে ফারুকের পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলুঙ্কা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের সাথে গত ইউপি নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে একই গ্রামের একই গ্রামের বাসিন্দা রায়হান সিদ্দিকী ওরফে ফারুকের পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল।
প্রতি বছর এপ্রিল মাসের ৩, ৪ ও ৫ তারিখ এই তিনদিন ব্যাপী তাঁদের গ্রামের আজিজ শাহ্’র মাজারের বাৎসরিক ওরশ মাহফিল অনুষ্টিত হয়। এবার এপ্রিলের প্রথম দিন থেকেই মাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। মাজার কমিটির সভাপতি মোঃ ৩ এপ্রিল নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবরে ওরশ বন্ধের লিখিত আবেদন করেন।,
উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে পরে দুই পক্ষের সংঘাত এড়াতে সোমবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানকার ওরশ মাহফিল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ৪০ মিনিট সময় ধরে চলা সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্র, রামদা, বল্লম, কাতরা, টেঁঠা ও লাটিসোটার আঘাতে কমপক্ষে ১০জন গুরুতর আহত হন।,
আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থ্যয় বাবুল খান (৫৫), নূরুল ফকির(৫৫), মানিক মিয়া (২৫), ইঞ্জিল মিয়া(৫৩), নজরুল ইসলাম(৬০),মুনমুন খান (৩৮), আবুল কালাম(৪০) ও আজিজুল হককে (৫৮) তাৎক্ষনিকভাবে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। মোহনগঞ্জ হাসপাতালে আমিরুল ইসলাম (৩২) ও মামুন (৩৪) ভর্তি রয়েছে । মামুন জানায় সামাইকোনা মোড় এলাকায় তাকে মারধর করে এবং মোটরসাইকেলটি ভেঙ্গে পানিতে ফেলে দেয়।.,
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই দুইটি পক্ষের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। এর জেরেই এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। আর এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে পুলিশ এলাকায় টহল দিতে অবস্থানরত সাংবাদিকরা দেখতে পান । সকাল থেকেই পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে । তবে এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায় ।,
Leave a Reply