কেন্দুয়া প্রতিনিধি- নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। গত ১ বছরে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২১টি (বিভিন্ন কেবি ওয়াডের) বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া পল্লীবিদ্যুত অফিসের ডিজিএম মজিবুর রহমান। তিনি জানান, গত ৫ মার্চ সান্দিকোনা ইউনিয়নের সাতবারুকা গ্রাম থেকে একটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। যার মূল্য ৭৭ হাজার টাকা। ,.
গত ২৮ মার্চ দলপা উপজেলার ধনিয়াগাঁও গ্রামে রাতের গভীরে ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে এক চোর বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। চোরের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ৫এপ্রিল রাতে কেন্দুয়া পৌরসভাধীন কান্দিউড়া গ্রামের পাছের হাওরের সেচ মেশিনের খাম্বা থেকে ১টি এবং পাশের সাহাপাড়া হরপার্বতী শশ্মানের খাম্বা থেকে অপর ১টি মোট ২টি ট্রান্সফরমার একই রাতে চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার ২টির খোলষ,নাট-বল্টুসহ বিভিন্ন জিনিস খাম্বর আশেপাশে পড়ে রয়েছে, ভেতরের মূল্যবান সামগ্রী নেই।,
কৃষকরা জানান,এখন জমিনে ধানের থোর আসতে শুরু করেছে এই সময় ট্রান্সফরমার চুরিতে আমরা বিপাকে পড়েছি।পানি দিতে না পরলে ধান ভাল হবে না। কান্দিউড়া গ্রামের সেচ মেশিনের মালিক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী এনামুল হক ভূঞা জানান, আমাদের হাওরে শশ্মানের ১টি এবং আমার সেচ মেশিনের ১টি মোট ২টি ট্রান্সফরমার বুধবার রাতে বিদ্যুতের খাম্বা থেকে কেটে নিয়ে গেছে চোরেরা। এখন আমি জমিতে পানি দেবো কি করে? অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।,
কেন্দুয়া পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম মজিবুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে কান্দিউড়া গ্রামের হাওর থেকে পাশাপশি ২টি খাম্বা থেকে ২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে শুনেছি। এটি নিয়ে গত এক বছরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২১টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে যার মূল্য প্রায় ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে আগের চুরি গুলোর মামলা দিয়েছি। এর মধ্য গত ২৮মার্চ ধনিয়াগাঁও ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে ১ চোর বিদ্যুতস্পর্শে মারা গেছে। চোরের নামসহ বিস্তারিত তথ্য থানায় আছে। কেন্দুয়া থানার ওসি আলী হোসেন পিপিএম বলেন, কান্দিউড়া গ্রামের ২টি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুত থেকে আমি এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।
Leave a Reply