রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

নেত্রকোণায় ৩ মাসে ৩১  বিজিবির    ৮,৪৫,২৬,১২১/-   টাকার মালামাল  উদ্ধার

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩
  • ২৩৬ পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি:  ৯২.৫ কিমি ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত ময়মনসিংহ নেত্রকোনা সুনামগঞ্জ  এই ৩  জেলার কার্যক্রম ৩১ বিজিবি নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের দায়িত্বে। বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট রয়েছে ১৫ টি।

অবৈধ চোরাচালান কমেছে দাবী করে ৩১ বিজিবি নেত্রকোণা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, গত ৩ মাসে বিজিবি  কর্তৃক   (ফেব্রুয়ারি- মার্চ- এপ্রিল) ৮,৪৫,২৬,১২১/-   টাকা সিজার মূল্যমানের (গরু, চিনি, কম্বল, শাড়ী, লেহেঙ্গা, ভারতীয় অরিও বিস্কুট, আমুল, বাটার, ভারতীয় মদ, বিয়ার, ফেন্সিডিল,সিরাপ,কসমেটিক্স, চকলেট, শনপাপড়ী, নৌকা, শ্যাম্পু, চা পাতা, জিরা, সাবান, মোবাইল সেট, ভারতীয় রুপি, পান, ব্যাগ, সুতা, জুস, জুতা, শিং মাছ, অলিভ অয়েল, বাংলাদেশী সুপারী, পিকআপ,বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল এবং অটো রিক্সা ইত্যাদি) মালামাল আটক করা হয়েছে, কাস্টমস মামলা হয়েছে  ৩০৯ টি,মাদক মামলা হয়েছে ৭২ টি এবং ২০ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।,

চোরাকারবারির সাথে জড়িত কাউকে কোনরূপ ছাড় দেয়া হচ্ছে না।প্রত্যেকটি বিওপিতে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে,  গণসচেতনতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে,  সীমান্তবর্তী লোকজন নিয়ে সভা-সেমিনার করা হচ্ছে।   চোরাচালান জিরো টলারেন্স নীতিতে দমন করা হচ্ছে। পিটারসন কুবি পিটার জানান,কলমাকান্দা এলাকার বাংলাদেশ গারো লিঙাম (মিগাম) ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে চোরাচালান সমর্থনযোগ্য নয়। বর্ডার এলাকার গুটি কয়েকজন এ কাজে জড়িত, এলাকায় কোনো সরকারী কিংবা বেসরকারী পর্যায়ের কোনো প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানা নেই, বেকারত্বের হার বেশী হওয়ার কারণে এই চোরাইকারবারের সাথে যুক্ত হচ্ছে।

কিছু টাকার বিনিময়ে পেছন থেকে বড় বড় চোরাকারবারীরা কল কাঠি নাড়ছে, তাদের আইনের আওতায় আনলে এবং বিকল্প কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করলে এই চোরাচালান অনেকাংশেই বন্ধ হবে বলে মনে করি এলাকাবাসী।,

পর্দার আড়ালে কোটিপতি চোরাকারবারী ব্যবসায়ীদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখে শুধু মাত্র কামলা দেয়া দিন মজুরী ফরমায়েশ খাটা ঐসব লেবারদের গ্রেফতার করা কিংবা তাদের মামলা দিলেই চোরাকারবার বন্ধ হবে বলে মনে করি না। এসবের জন্যে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে  প্রশাসনের আগানো উচিত বলেই মনে করি সচেতন মহল ।কথায় আছে, প্রয়োজন আইন মানে না। সুতরাং সীমান্ত এলাকায় অর্থ উপার্জন করে বেচেঁ থাকার বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নাই বলেই আইনকে তোয়াক্কা না করে সাধারণ লোকজন চোরাকারবারের সাথে যুক্ত হচ্ছে।,

এ জন্যে মানবিক প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন ।রংছাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল পাঠান বলেন, বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায়  গারো আদিবাসীদের বসবাস, অধিকাংশ আদিবাসীদের কর্মসংস্থান নেই, তাদের কর্মসংস্থান,  কাউন্সিলিং ও রেশনিং পদ্ধতিতে পুনর্বাসন করা গেলে চোরাচালান কমবে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজ কর্মী  রাজেশ গৌড় জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাইকিং, সচেতনতা সেমিনার, যানবাহনে অবৈধ মালামাল বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি ও চেকপোস্টের মাধ্যমে বিজিবির অধিনায়ক  লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আরিফুর রহমান চোরাচালান,  নারী শিশু ও মানব পাচার বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থানের ফলে ৩১ বিজিবি নেত্রকোণায় ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত (ময়মনসিংহ নেত্রকোনা সুনামগঞ্জ)১৫ বিওপিতে চোরাচালান অনেক কমে গেছে। ভারত ও বাংলাদেশে পণ্যমূল্যের বিস্তর ফারাক থাকায় অসাধু লোকজন অবৈধ উপায়ে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার মানসে চোরাকারবারির সাথে যুক্ত হয়ে অবৈধ চোরাচালানের পথ বেছে নিচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  চোরাকারবারি কমে যাওয়ার দরুন সীমান্তবর্তী এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা কম ও ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ উৎফুল্ল এবং এলাকা শান্ত।

 

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

এ জাতীয় আরও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

© All rights reserved © 2021 dainikjananetra
কারিগরি সহযোগিতায় পূর্বকন্ঠ আইটি