বিশেষ প্রতিনিধিঃ চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানির বেড়ে বাধঁ ভেংগে ফসল হানির আশংকায় দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলছে হাওর পাড়ের কৃষকরা। খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীর পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে শুরু করায় হাওর উপজেলা খালিয়াজুরী, মদন ও মোহনগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে পুরোধমে ধান কাটা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে ১১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৩ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়। তিন হাওর উপজেলায় ৪৪ হাজার হেক্টর বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ৫৪ ভাগ ধান কর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। দ্রুত ধান কাটার জন্য হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলায় ৩শত ৩২ টি হারভেস্টার ও ১০ হাজার শ্রমিক দিনরাত ধান কাটার কাজে নিয়োজিত আছে। হাওর উপজেলা খালিয়াজুরীর কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান,আমাদের এলাকায় বিআর-২৮ ধান কাটা শেষ হয়েছে এখন চলছে হাইব্রিড ধান কাটা যা কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এফ এম মোবারক আলী বলেন,পানি বাড়ার সাথে কৃষকদের দ্রæত ধান কাটার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে হাওর এলাকায় ৫৪ ভাগ ধান কর্তন হয়েছে। এর আগে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলায় ৫শ হেক্টর জমির বোরো ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ সময় খালিয়াজুরী উপজেলার কীর্তনখোলা বাঁধের কয়েকটি অংশে ফাটল দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাঁধ মেরামত করা হয়। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, গতকাল পর্যন্ত হাওর এলাকার ধনু নদীর পানি ০৩ সেঃ মিঃ নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকাবাসীকে নিয়ে এখনো বিভিন্ন বাধেঁ অবস্থান করছে।
Leave a Reply