বিশেষ প্রতিনিধি:নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সামনের নামাকান্দা বিলে সেচ মটর বসাতে গিয়ে হয়রানির শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, সেচ লাইন নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে ৭০ একর জমি এবছর অনাবাদি থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করে ৪ টি খুঁটি ও ট্রান্সফরমার কিনে জমিনের পাশে লাইন টেনে নিয়ে রাখলেও সংযোগ দিতে টালবাহানা করছেন পল্লী বিদ্যুৎ মোহনগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আবুল কালাম। নোয়াগাঁও গ্রামের রতন মিয়া, আপোস মিয়া, বিদ্যা মিয়াসহ ১০-১২জন কৃষক জমি আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার বরাবর ১৮ ডিসেম্বর লিখিত আবেদন করেছেন তারা ।,
ডিসেম্বর মাসের মোহনগঞ্জের উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় নোয়াগাঁও বিদ্যুৎ সেচের সংযোগের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে ডিজিএম তখনও সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নি। সেচ মটরের আবেদনকারী কৃষকদের একজন মোঃ রতন মিয়া বলেন, সেচের মটর বসাতে নিয়মানুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে আবেদনের অনুমোদন নিয়েছি। পরিবেশ ছাড়পত্রও নিয়েছি। টাকা দিয়ে চারটি খুঁটি কিনে জমি পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন টেনেছি। সাইটে বুড়িং করে পাইপ ফেলা হয়েছে। কেনা হয়েছে ট্রান্সফরমার।,
কিন্তু এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেয়া হয়নি। ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩শ ১৫ টাকা পল্লী বিদ্যুতের একাউন্ডে জমা, ৬৯ হাজার টাকা ট্রান্সফরমার ক্রয়সহ মোট পাঁচ লাখ টাকার খরচ হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সংযোগ দেয়া নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন। এদিকে চাষের সময় চলে যাচ্ছে। এ মাঠে ৭০ একর জমি রয়েছে। এই মটর থেকে পানি সেচ দিয়েই ওই জমি চাষ হবে। অপর আবেদনকারী বিদ্যা মিয়া বলেন, চাষের সময় চলে যাচ্ছে তাই ডিজেল চালিত ইঞ্জিন দিয়েই জমিতে পানি দিচ্ছি। জ্বালানি তেলের দাম বেশি। এভাবে সেচ দিয়ে জমি চাষ করলে লোকসান ছাড়া কিছুই হবে না।,
এছাড়া ডিজেল মেশিন দিয়ে সব জমি চাষ করাও সম্ভব নয়। ¯স্থানীয় কৃষকরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যদি আমাদের কাগজপত্রে কোন ঝামেলা থাকে তাহলে আমাদের কাছ থেকে টাকা জমা নিলেন কেন ? কিন্তু ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এসব কিছুই না বলে সংযোগ নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন। মোহনগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আবুল কালামকে ওই সেচ লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের টালবাহানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি স্বাক্ষাতে বলব। ফোনে বলা যাবে না।.
বিষয়টি নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার সরকারকে অবহিত করলে, তিনি বলেন এই সময়ে অনেক মানুষ সংযোগ পাচ্ছেন। তবে রতন মিয়ার সংযোগ কেন দেয়া হচ্ছে না বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। বিষয়টি নিয়ে মোহনগঞ্জের ডিজিএম এর সাথে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।
Leave a Reply