মদন প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা মদন উপজেলায় ১৫ ই জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মদন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপ-নির্বাচন। ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ পদত্যাগ করলে পদ’টি শূন্য হয়। তিনি ২০১৯ সালের ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
উপজেলার ১,২০,৯৭৭ জন ভোটারের ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের জন্য ৪৫ টি ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করেন নির্বাচন কমিশন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চার প্রার্থী। তারা হলেন, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মোঃ জাকির হোসেন উজ্জ্বল, মাইক প্রতীক নিয়ে এম এ সোহাগ, তালা প্রতীক নিয়ে মুফতি আনোয়ার হুসাইন ও চশমা প্রতীক নিয়ে মোঃ নাজিম উদ্দিন। মদন উপজেলার সচেতনমহল ধারণা করছে, নির্বাচনে যেই নির্বাচিত হোক না কেনো, অল্প ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবেন। কারণ হিসেবে তারা তুলে ধরেন, উপজেলার পূর্বাংশের একক প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন উজ্জ্বল।
তিনি দীর্ঘদিন মদন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পদে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া পূর্বেও তিনি মদন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। উপজেলার বিভিন্ন মহলে সামাজিক ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিতি রয়েছে। আঞ্চলিক প্রীতি পেলে তিনিই হতে পারেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। অন্যদিকে এম এ সোহাগ হচ্ছেন সাবেক মদন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম এম এ হারেছের সন্তান। সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে গ্রামগঞ্জে এম এ সোহাগের যথেষ্ট পরিচিতি আছে। মুফতি আনোয়ার হোসাইন ইসলামিক বক্তা হিসেবে মদন উপজেলার সর্বস্তরের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি উপজেলা শাহী জামে মসজিদের খতিব।
বিগত সময়ে তিনি ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বিভিন্ন পথ সভায় জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, শুধু ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্যই তিনি নির্বাচনে এসেছে। ধর্মভীরু সাধারণ মানুষ এবং ইসলামিক দলগুলোর সমর্থন রয়েছে উনার প্রতি। মোঃ নাজিম উদ্দিন একমাত্র আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। তিনি বিগত দুই দুইবার ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন । মদন উপজেলার দক্ষিণাংশের একক প্রার্থী তিনি। উপজেলার দক্ষিণাংশের মানুষের সমর্থন পেলে তিনিও হতে পারেন মদন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
নির্বাচন অতি নিকটে হওয়ায় প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনা বাড়ালেও বাড়েনি নির্বাচনী আমেজ। উপজেলার জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টি-বাদল দিন থাকায় গ্রামগঞ্জে নির্বাচনী আমেজ নেই। কেউ কেউ বলেন, নির্বাচনের দিন বৃষ্টি-বাদল থাকলে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। কোনো কোনো এলাকার মানুষ বলছে, উপনির্বাচন বা ভাঙ্গা নির্বাচন তাকায় মানুষের নির্বাচনী উৎসাহ উদ্দীপনা কম। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Leave a Reply