বিশেষ প্রতিনিধিঃ এনামূল হক পলাশ (জন্ম: ২৬ জুন, ১৯৭৭) বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার ,শিশু সাহিত্যিক। তিনি অন্তরাশ্রম নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং একই নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিচালনা করেন। এনামূল হক পলাশ জন্ম ২৬ জুন ১৯৭৭ বামনগাঁও,বারহাট্টা উপজেলা,নেত্রকোনা,বাংলাদেশ। উল্লেখযোগ্য কর্ম অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধ চাই, আন্দোলন ভাসান পানি আন্দোলন পিতা-মাতা এমদাদুল হক (পিতা) নুরুন নাহার হক (মাতা) এনামূল হক পলাশের কবিতা ‘সরল বয়ানে ক্ষত-বিক্ষত জীবনকে তুলে ধরে, সর্বনাশা সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের অখন্ড অনুভবকে তুলে ধরেন, এটাই তার স্টাইল।তার কবিতার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পঙক্তি গুলো কবির মুখ ও মানবের জীবনের আয়না।,
একেবারে নিজস্ব ব্যক্তিগত বোধ থেকে শুরু করে সামাজিক সমস্যা পর্যন্ত সব কিছুর মর্ম অনুধাবন তার কবিতায় ফুটে উঠেছে[৩] সমকালীন সমাজ,বিশ্বরাজনীতি, ঐতিহাসিক পরমার্থ, সসীম মানুষের অসহায়ত্ব, আধুনিক শিল্পীর অন্ধত্ব ও কৃষকের দুরবস্থাকে অতিক্রম করে এই লেখক মানবজীবনের সফলতার স্তব বর্ণনা করেছেন।জন্ম ও শৈশবএনামূল হক পলাশ ১৯৭৭ সালের ২৬ জুন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাদে চিরাম গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস একই উপজেলার বামনগাঁও গ্রামে।শিক্ষা জীবন বারহাট্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।,
বারহাট্টা সি. কে. পি. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু করে ১৯৯৪ সালে বিজ্ঞান। শাখায় প্রথম বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারমিডিয়েট কলেজে ১৯৯৬ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৭ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতক সম্মানে ভর্তি হন। ১৯৯৮ সালে তিনি টিসি নিয়ে নেত্রকোণা সরকারি কলেজে ভর্তি হন এবং ২০০২ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতক সম্মান উত্তীর্ণ হন। ২০০৪ সালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিদ্যায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে মাস্টার্স অর্জন।,
কর্মজীবন২০১৬ খ্রিস্টাব্দে কবি নির্মলেন্দু গুণ প্রতিষ্ঠিত নেত্রকোনা জেলার মালনী অঞ্চলে বিশ্ব কবিতার আবাসস্থল বা হোম অব ওয়ার্লড পয়েট্রি খ্যাত “কবিতাকুঞ্জ” প্রতিষ্ঠার প্রারম্ভকাল থেকে অবকাঠামো গঠনের সাথে সংযুক্ত ছিলেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রথম পরিচালক হিসেবে গুণ কর্তৃক নিযুক্ত আছেন। ২০১৭ সালে কবি, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীদের ব্যবহারের জন্য তিনি নেত্রকোনা শহরের মালনী এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন “অন্তরাশ্রম” নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। তিনি নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কুপি বাতি নামে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করেছেন,। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহকাব্যগ্রন্থসমূহ : অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধ চাই, জীবন এক মায়াবী ভ্রমণ, অন্ধ সময়ের ডানা, অন্তরাশ্রম, মেঘের সন্ন্যাস, পাপের শহরে, জল ও হিজল, তামাশা বাতাসে পৃথিবী, অখন্ড জীবনের পাঠ, লাবণ্য দাশ এন্ড কোংশিশুতোষ কবিতার বই: বইয়ের পাতায় ফুলঝুরি, কলমিলতার ফুল,মগড়ানদীর বাঁকে গবেষণাগ্রন্থ :ভূমি ব্যবস্থাপনার সরল পাঠঅনুবাদ গ্রন্থ :ধর্ম বিশ্বাস আখ্যানের মতো সুন্দর, মু – আল্লাক্বা, ইমরুল কায়েসের কবিতা।এনামুল হক পলাশের সবচেয়ে বড় পরিচয় মানবিক একজন মানুষ।,
সাধারণ মানুষের সমস্যা , অসহায় মানুষের আর্তনাদে এগিয়ে আসেন সব সময়। তিনি আলোর পথে পথিক, নেত্রকোনার সুফি কবি, তিনি নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নতুন ভবনের ভূমি বন্দোবস্তের বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি নেত্রকোনা ভূমি জাদুকর প্রতিষ্ঠার ধারনা পত্র প্রদান করেছেন, যার প্রেক্ষিতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কর্তৃক ভূমি জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি সত্যিই একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি , কবি গবেষক, সংগঠক কবি এনামুল হক পলাশের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তার মাধ্যমে দেশ ও জাতি অনেক কিছু আশা করে। (লেখক – প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এআরএফবি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক)
Leave a Reply