কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ সদ্য সরকারিকৃত নেত্রকোনার কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ। কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক মো. শফিকুল আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে একই দিন বিকেলে ওই নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) মুহাম্মদ সফিউল বশর স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে কি কারণে নিয়োগ আদেশটি বাতিল করা হয়েছে- তা বাতিল আদেশের পত্রে উল্লেখ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সরকারিকৃত কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদারের অবসরজনিত কারণে অধ্যক্ষ পদটি শূন্য হয়।
কলেজটির নতুন অধ্যক্ষ পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ০৫ ফেব্রুয়রি ২০২৪ তারিখের ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০২.০০১.২০২১-৫১ স্মারক পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজটির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল আলমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে এক পত্র দেওয়া হয়। পরে একই দিন বিকেলে অন্য একটি পত্রের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখের ৩৭.০২.০০০০.১০৩.৯৯.০১৭.২০২৪-৬৯ স্মারক মোতাবেক সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ এর আলোকে সদ্য সরকারিকৃত কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের আর্থিক ক্ষমতাসহ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত অফিস আদেশটি বাতিল করেন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সফিউল বশর।
কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল আলম বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী এক পত্রের মাধ্যমে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরে একই দিন বিকেলে আদেশটি বাতিল করা হয়। তবে কি কারণে নিয়োগ দিয়ে আবার বাতিল করা হল- তা আমার জানা নেই। এদিকে সকালের নিয়োগ আদেশ বিকেলে বাতিলের ঘটনায় এলাকায় বেশ আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কলেজটির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. শফিকুল আলমই নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু সকালে তাকে নিয়োগ দিয়ে আবার বিকেলে তা বাতিল করে একজন শিক্ষককে সমালোচিত করা ঠিক হয়নি।
Leave a Reply