বিশেষ প্রতিনিধিঃ বসন্ত এসেছে। ঋতুরাজ বসন্ত। শীতের বিদায়লগ্নে। প্রকৃতির উদার অঙ্গনে। মহাসমারোহে। অপূর্ব রূপরাশি ও সৌন্দর্য ধারণ করে। প্রকৃতির সর্বত্র সাজ সাজ রব। দখিনা মৃদুমন্দ মলয়। গাছে গাছে পাখির কলতান। কোকিলের কুহুতান। ফুটেছে রক্তশিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া। বাতাবি লেবুর ফুল, আম্র-মুকুলের হৃদয় জুড়ানো সৌরভ আর মৌমাছির মধুর গুঞ্জরণে চারদিক সরগরম। আমোদিত। পুলকিত। জোয়ার উঠেছে বিশ্বপ্রকৃতি ও মানবমনে। সেই মন গাইছে, ‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়। মানুষ ও প্রকৃতির বুকে নব প্রাণ জাগানিয়া এই বসন্তকে বর্ণিল আয়োজনে বরণ করেছে নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়। বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় মেতেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে (কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেত্রকোণা) জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বসন্তবরণ উৎসব। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম বসন্তবরণ উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন, রেজিস্ট্রার ড. হারুন-অর-রশিদ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সম্মিলিত বসন্তবরণ আনন্দযজ্ঞটির পূর্ণতা পায় র্যালির মাধ্যমে। অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক অব্দি চলে এই সম্মিলিত আনন্দ জোয়ার র্যালি।সম্পূর্ণ বাঙালিয়ানা এবং অন্তরঙ্গ মঞ্চব্যবস্থাপনায় বসন্তবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় লোকসংগীত, নৃত্য, পুথিপাঠ চলে । এরপর দেশবরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতির গীত-নৃত্য-অভিনয়ের অদ্বয় পরিবেশনায় আমলকি আমেজে নেমে আসে ক্যাথারসিস। এভাবেই বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির নিজস্ব সর্বজনীন প্রাণের উৎসব বসন্তবরণ।
Leave a Reply