খালিয়াজুরী প্রতিনিধি: নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা একটি হাওয়ার বেষ্টিত এলাকা, যেখানে রয়েছে খাল বিল নদী নালা ও অসংখ্য হাওর, চাষাবাদের জমিসহ, বিশাল বিশাল মাঠ। যে মাঠের মধ্যে হাজারো গুরু মহিষ লালিত, পালিত হয়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৯৭’৬৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলায় ৬৮ টি গ্রামের ৫৪ ওয়ার্ডের ২০১৯৩ টি পরিবারের মধ্যে প্রায় লক্ষাধিক জনগণের বসবাস।এর মাঝে ২৮৫৯৬ হেক্টর জমির মধ্যে ২০২৯৩ হেক্টর জমিতে বুরো ধান চাষাবাদ হয় বাকী ৮৩০৩ হেক্টর জমির প্রায় অর্ধেক রবিশস্য চাষাবাদ হয় এবং অনাবাদী ৪০০০ হেক্টর পতিত জমিতে গরু, মহিষ লালন পালন করা হয়।
প্রায় ১০০০০ কৃষি পরিবারের মধ্য, প্রত্যেকটা পরিবারেই ৪/৫ টি করে গরু,মহিষ পালন করে থাকে। এ তথ্য অনুযোগী প্রায় ৩০/৪০ হাজার গবাদিপশু খালিয়াজুরীতে পালিত হয়। মেন্দিপুর ইউনিয়নের নাওটানা ও চাতলপাড় হাওর, পূর্ব গন্নাথপুর হাওড়,চাকুয়া ইউনিয়নের চাকুয়া হাওর হারাকান্দি হাওর, বল্লী ও শালদিগা হাওর, খালিয়াজুরী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর হাওর, খালিয়াজুরী হাওর, গচিকাই হাওর, গাজীপুর ইউনিয়নের গাজিপুর হাওড, পাসহাট হাওর, নগর ইউনিয়নের নগর হাওর, বাঘাটিয়া হাওর ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর পূর্বা হাওড়, মুসলিমপুর হাওর, কল্যাণপুর ও কুতুবপুর হাওর উল্লেখযোগ্য।উল্লেখিত হাওর গুলোর মাঝে পৌষ মাস থেকে বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত, রাখালেরা দলবদ্ধভাবে গরু লালন পালন করে থাকে। সকাল আটটা থেকে রাখালেরা গরু নিয়ে মাঠে চলে যায়, সারাদিন ঘাস খাওয়ানোর পর বিকালে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে আসে। এভাবেই চলতে থাকে নিয়মিত রাখালদের কাজ।রাখাল সুলাইমান ও মামুন মিয়া আমরা বাড়ীতে গরু পালন করি,কিন্তু কেনাবেচার কোন হাট না থাকায় বহু দূরের বাজারে গিয়ে গবাদিপশু কেনাবেচা করতে হয়, আমাদের খুবই কষ্ট হয় , আমাদের একটা হাটের খুব দরকার ।মেন্দিপুরের মোঃ রিপন মিয়া অসবুজ মিয়া, চাকোয়া ইউনিয়নের আবুল কাশেম আবাদী, খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদ রাসেল মিয়া, গাজীপুর ইউনিয়নের মাসুদ মিয়া,মামুন মিয়া, নগর ইউনিয়নের হারাধন দাস ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আব্দুল জব্বার মিয়া সাথে কথা বলে জানা যায়, আমরা প্রত্যেক কৃষকেই জমি চাষাবাদের পাশাপাশি গবাদি পশু লালন পালন করে থাকি। গবাদি পশু পালনে আমরা বাড়তি আয় রোজগার করে থাকি।আমাদের পশু কেনাবেচার কোন হাট নেই।
উপজেলার বাহিরে মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শ নগর বাজার, মদন উপজেলার দেওয়ানবাজার, কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং বাজার সহ অন্যান্য বাজার থেকে গরু কেনাবেচা করতে হয় যাহা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর।খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব স্বাধীন, সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কেষ্ট, জামাতের আমির মোঃ ইসমাইল হোসেন,বি,এন,পি দলনেতা ইদ্রিস আলী মোল্লা, তরিকুজ্জামান তরু, কৃষক দলনেতা পান্ডব সরকার যুব দলনেতা এনামুল হক ছোটন ও ছাত্রদলনেতা মাজহারুল ইসলাম পলিন,মেন্দীপুর বি,এন,পি সভাপতি আঃ মান্নান চৌধুরী ও দলনেতা আলী হাসান চৌধুরী পিন্টুর সাথে কথা বলে জানা যায়, আমাদের উপজেলা গরু কেনাবেচার হার্ট খুবই জরুরী প্রয়োজন, গরু কেনাবেচার হার্ট থাকলে আমাদের কৃষকগণ নিজ নিজ এলাকায় গরু কেনাবেচা করতে পারিবে এবং ইহাতে সরকার হাট বাজারের ইজারার লিজের টাকা পাবে এবং জনগণ উপকৃত হবে । তাই আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের মাধ্যমে গরু কেনাবেচার হাটের অনুমতির জন্য সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদকে আবেদন কারী করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আবেদন করিয়াছি। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান অত্র উপজেলা গরু কেনাবেচার হার্ট জরুরী প্রয়োজন গরু কেনাবেচার হার্ট থাকলে কৃষকের কষ্ট লাগব হবে।উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ উজ্জল হোসেন বলেন এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে গরু কেনাবেচা হাঁটের জন্য সাংবাদিক মোঃ আবুল কালাম আজাদ আবেদন করেছে , আমি উক্ত আবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছি, আশা করি অতি তাড়াতাড়ি গরু কেনাবেচা হাটের ব্যবস্থা হবে, আমি এজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
Leave a Reply