বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল সংগ্রহের নতুন কয়েক হাজার খালি বস্তা উধাও হয়ে গেছে। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে রোববার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান মোহনগঞ্জের সাতুর রোডস্থ’ ৩নং খাদ্য গুদাম সিলগালা করেন। পরবর্তীতে ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে সিলগালা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সিলগালা করেনি। মোহনগঞ্জ সর্বত্র প্রচার হয়েছে বললে তিনি বলেন এটি মিথ্যা কথা।
তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে কি কারণে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় । ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতাক্কাবির খান প্রভাসকে সিলগালা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রাগান্বিত হয়ে সিলগালা করে ছিলেন। জেলা খাদ্য কর্মকর্তার এসব আশ্বাস পেয়ে মোতাক্কাবির খান খালি বস্তা ক্রয় করার জন্য শম্ভুগঞ্জ যান। অপরদিকে গুদামের কর্মচারীসহ লেবারদের সাড়ারাত অবস্থানের নির্দেশ দেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয় খাদ্য গোদাম কর্মকর্তা একটি পিকআপে খালি বস্তা নিয়ে আসছেন। রাত ৩টার সময় খাদ্য কর্মকর্তা শিশু পার্কের সম্মুখ দিয়ে বিরামপুরের দিকে যান।
রাতে সোয়া ৩টার দিকে পিক আপকে নিয়ে শিশু পার্কের সম্মুখ দিয়ে যাওয়ার সময় থানা পুলিশ পিক আপটি আটক করে। আটক করার সাথে সাথে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মোতাক্কাবির খান প্রভাস কেটে পড়েন। পরবর্তীতে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ চালকসহ দুইজনকে আটক করে। ঘটনা তদন্তে রোববার রাতেই বারহাট্টা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অপর দুইজন হলেন পূর্বধলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আনিছুর রহমান, সদস্য সচিব ও আটপাড়া উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মোঃ কামরুল হাসান, সদস্য। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ধান চাল কেনার জন্য জেলা খাদ্য গুদাম থেকে নতুন বস্তা দেয়া হয়। মোহনগঞ্জ উপজেলায় ৩০ কেজি ও ৫০ কেজি চালের খালি বস্তা রোববার পর্যন্ত মজুদ থাকার কথা। কিন্তু সেখানে বিপুল পরিমাণ বস্তা গড়মিল রয়েছে এ সন্দেহ হয় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার। ক্যাশ মেমো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শম্ভুগঞ্জ, ময়মনসিংহ মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজের ক্যাশ মেমো নং- ১৮৯৮, ৪৪ হাজার টাকার ক্যাশ মেমোতে তারিখ নেই, বিক্রেতার স্বাক্ষর নেই ও টাকা পরিশোধ করা হয়েছে তার লিখা নেই। মোহনগঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মাতৃ অটো রাইস মিল গ্রাহকের নাম বিনয় সরকার ক্যাশ মেমো দেখানোর পর আমরা ছাড়তে বাধ্য হই।
Leave a Reply