করোনাভাইরাসের দশম টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
টিকাটির নাম নোভাক্সোভিড। যেটাকে এর আগে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) মূল্যায়ন শেষে অনুমোদন দিয়েছিল। এই টিকাটিও তৈরি করেছে নোভাভ্যাক্স ও সিইপিআই (কোয়ালিশন ফর দ্য এপিডেমিক প্রিপ্রেয়াডনেস ইননোভেশন্স)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগে এই টিকার অনুমোদন দেয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ইইউ’র অনুমোদন পাওয়া পঞ্চম টিকা নোভাক্সোভিড।
গেল ১৭ ডিসেম্বর নোভাভ্যাক্সকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় হু। এ বিষয়ে হু বলেছে, ‘নোভাভ্যাক্স ও নোভাক্সোভিড একই প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎপাদিত টিকা। দুটি টিকাই রেফ্রিজারেটরে ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়।’
নোভাক্সোভিডের বিষয়ে ইএমএ বলেছে, ‘এটা প্রোটিন ভিত্তিক টিকা এবং এটা ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। এই টিকা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর টিকাদান কর্মসূচিকে সহায়তা করতে পারবে। বিশেষ করে করোনার কঠিন সময়ে।’
এই টিকা মানবদেহকে এমনভাবে প্রস্তুত করে যাতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে সেটাকে পরাজিত করতে পারে। অর্থাৎ ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এটি করোনার বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়া ল্যাবরেটরিতে তৈরি করে এই টিকায় এমন এক প্রোটিন ব্যবহার করা হয়েছে যেটা করোনার স্পাইকে প্রোটিনের উপরিভাগে থাকে।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Leave a Reply