বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস চর্চায় তারুণ্যকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে জেলা পরিষদ, সিলেট-ইনোভেটর বইপড়া উৎসব। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রায় হাজারো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে উদ্বোধন হয়েছে এ উৎসবের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিজয়ে সুবর্ণ আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে ‘বিশ্বের বিস্ময়’ এ পরিণত করার জন্য বই নির্ভর সমাজের বিকল্প নেই। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে বইপড়ুয়ারা। বই চির অমলিন, বইয়ের ক্ষমতা কখনো হারায় না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা পরিষদ, সিলেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ, আর টি এম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদব কেউট ও সামচান চাষা।
সভাপতিত্ব করেন ইনোভেটরের মুখ্য সঞ্চালক, সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক প্রণবকান্তি দেব।
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরী প্রতীক এন্দ টনি এবং ইনোভেটরের সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম অনির পরিচালনায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বইপড়া উৎসবের আয়োজন।
বইপড়া উৎসবে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের হাতে এ বছরের নির্বাচিত গ্রন্থ, স্কুল শাখায় মুনতাসীর মামুনের উপন্যাস ‘জয়বাংলা’ এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় শওকত আলীর উপন্যাস ‘যাত্রা’ তুলে দেয়া হয়। এবারের আসরে মোট ৯৯১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তার মধ্যে স্কুল ও সমমানের মাদ্রাসা পর্যায়ের ৫৩৫ জন এবং কলেজ, স্নাতক ও সমমান মাদ্রাসার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সিলেট মহানগর ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও শিক্ষার্থীরা এ বছর বইপড়া উৎসবে যোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ‘জ্ঞানের আলোয় অবাক সূর্যোদয়!/ এসো পাঠ করি/ বিকৃতির তমসা থেকে/ আবিষ্কার করি স্বাধীনতার ইতিহাস’ কে সামনে রেখে ২০০৬ সাল থেকে ইনোভেটর বইপড়া উৎসবের আয়োজন করে যাচ্ছে। গত দুটি আসর থেকে এ উৎসবকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে সিলেট জেলা পরিষদ।
Leave a Reply