মোহনগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোহনগঞ্জ পৌরসভার দেওথান এলাকায় অবস্থিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে গতকাল ৩২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুপুর ১২টায় ১ জন শিক্ষার্থী ও ১০/১২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিতি দেখা যায়।
তবে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রধান শিক্ষক এগিয়ে আসেন এবং অন্য একজন দৌড় ঝাঁপ করে জাতীয় পতাকা টানাতে দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২ টায় সরেজমিনে দেওথান এলাকায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আঃ রব খান ঠাকুর এর সাথে কথা হয়।
তিনি বলেন অত্র বিদ্যালয়ে সর্বমোট ৩৫ জন স্টাফ রয়েছে এবং ৩২০ জন শিক্ষার্থী আছে। ২য় শ্রেণীর সুমাইয়া নামে একজন শিক্ষার্থী ও ১০/১২ জন স্টাফ পাওয়া যায়। ৩২০ জনের স্থলে ১ জন শিক্ষার্থী হাজিরা কেন প্রশ্ন করলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। নেত্রকোণা জেলা পরিষদ থেকে উন্নয়নের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। কিন্তু আজো এই প্রতিষ্ঠানে একটি বাথরুম নেই। প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্তৃপক্ষ আপনাকে কত তারিখ নিয়োগ দিয়েছেন? আর আপনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে কত তারিখ এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ফাইলপত্র সমাজ সেবা বিভাগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো তথ্য দেওয়ার জন্য অফিস ফাইল থাকার কথা । গতকাল ১:৩০ মিনিট সময়ে এসে জাতীয় পতাকা টানানো নেই এবং দুটি কক্ষে তালা মারা ছিল প্রশ্ন করলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি । অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য নেই এবং কক্ষের ভিতর প্রতিষ্ঠান প্রধানের বসার কোন ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি এর অফিসে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের নামে নানা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে এবং কাগজপত্রের কোন মিল পাচ্ছি না। উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নিরপেক্ষ তদন্ত করলে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে এলাকাবাসী মনে করছেন।
Leave a Reply