বিশেষ প্রতিনিধি “নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের ল্যাবে ২২ অক্টোবর শনিবার দুপুর বারোটায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন দায়িত্বরত কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই। বহিরাগত লোক অবস্থান করছে। তিনি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে শোকজ করবেন বলে জানান।জানা যায়, মোহনগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ল্যাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব মোঃ হাবিবুর রহমান ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব (নিজ বেতনে) মোঃসাদ্দাম হোসেন খান দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদা খাতুন প্রতিদিনের মতো বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সাংবাদিক নিয়ে ল্যাব পরিদর্শনে যান ।
এ সময় দায়িত্বরত দুই জনের মধ্যে কাউকে পাননি। ল্যাবে অবস্থানরত জামালপুরের আতিক (৩২) কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলে আমি হাবিবুর রহমানের নাতি। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সে আমার নাতি ল্যাব সম্পর্কিত তার প্রশিক্ষণ রয়েছে। তিনি বলেন আমার স্ত্রী অসুস্থ তার কথা শুনে আমি মোহনগঞ্জ হাসপাতাল ত্যাগ করে দ্রুত ময়মনসিংহের উদ্দেশ্য রওনা দেই ।
মোঃ সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, আমি পানি খেতে বের হয়েছিলাম। হাবিব ভাইয়ের নাতি সে যদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আমার করার কি আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদা খাতুন, আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন, হাসপাতালের সরকারি একটি ল্যাব ফাঁকা রেখে দুইজন কর্মকর্তা অনুপস্থিত দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। বহিরাগত লোক আতিককে জিজ্ঞাসাবাদ করি। ল্যাবের দায়িত্বে দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে শোকজ করা হবে বলে তিনি জানান। মোহনগঞ্জ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কয়েক মাস আগে বহিরাগত লোক দায়িত্ব পালন করছে এরকম একটি অভিযোগ মোহনগঞ্জ হাসপাতালের প্রধান সহকারি মোঃ মাহবুবুর রহমান খানকে অবহিত করা হয় । তিনি সঙ্গে সঙ্গে যাচাই করে সত্যতা পান। ঐ সময় হতে তাকে জরুরি বিভাগের ডিউটি হতে মৌখিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
Leave a Reply